হামাগুড়ি দিয়ে বালতিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু

সবে হামাগুড়ি দিতে শিখেছে নয় মাসের শিশু আবদুল্লাহ। কিছুদিন আগে যখন সে প্রথম হামাগুড়ি দিয়ে চলতে শুরু করল পরিবারের সবার মনে তখন আনন্দ। তবে, এ আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
বাবা ওবায়দুল্লাহ তখন বাসার বাইরে। বাসায় মা আকলিমার সাথে ছিল আবদুল্লাহ। বাসার কাজে ব্যস্ত ছিলেন আকলিমা। হঠাৎ লক্ষ্য করলেন আশেপাশে কোথাও আব্দুল্লাহ নেই। বাথরুমে পানিভর্তি বালতিতে মিলেছে শিশুটির নিথর দেহ।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে রাজধানী সবুজবাগে এই ঘটনা ঘটেছে।
সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম জানান, পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুটির মামা মাজেদুল ইসলাম বলেন, “আমরা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। এ ধরনের মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।”
বিশেষজ্ঞরা জানান, ঢাকা শহরের বিশেষগুলোতে ফ্ল্যাটগুলোতে একইরকমভাবে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। একমাত্র মা বাবার সচেতনতাই এ ধরনের মৃত্যু রোধ করতে পারে।
সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ এর পরিচালক আমিনুর রহমান জানান, “৮ থেকে ১৮ মাস বয়সী শিশুরা সবার নজর এড়িয়ে একইভাবে বাথরুমের বালতির পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে। শহরে এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে। মা-বাবার পক্ষে ২৪ ঘণ্টাই শিশুকে চোখে চোখে রাখা সম্ভব হয় না। তাই এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বাথরুমে দরজা বন্ধ রাখার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, বাসার বালতিগুলো খালি রাখতে হবে অথবা শক্তভাবে ঢাকনা বন্ধ করে রাখতে হবে যাতে শিশুরা পানির নাগাল না পায়।
Comments