থিতু হয়েও আত্মাহুতির মিছিলে বিপাকে বাংলাদেশ

বিপর্যস্ত সকাল দিচ্ছিল চূড়ান্ত বিব্রত হওয়ার আভাস। তা হতে না দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক। প্রতিরোধের পর সাবলীল খেলা মুমিনুল ফেরেন লাঞ্চের আগে। পরে আরেক জুটিতে ভরসা যুগিয়েছিলেন শান্ত আর মাহমুদউল্লাহ। দুজনেই বাজে শটে ফেরেন লাঞ্চের পর। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে সম্ভাবনাময় তিনজনকে মাঝপথে খুইয়ে ফের ভেঙে পড়ার সুর বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে।

বিপর্যস্ত সকাল দিচ্ছিল চূড়ান্ত বিব্রত হওয়ার আভাস। তা হতে না দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক। প্রতিরোধের পর সাবলীল খেলা মুমিনুল ফেরেন লাঞ্চের আগে। পরে আরেক জুটিতে ভরসা যুগিয়েছিলেন শান্ত আর মাহমুদউল্লাহ। দুজনেই বাজে শটে ফেরেন লাঞ্চের পর। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে সম্ভাবনাময় তিনজনকে মাঝপথে খুইয়ে ফের ভেঙে পড়ার সুর বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে।

৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর শান্তর সঙ্গে জুটিতে ফিফটি পেরুন মুমিনুল। দুজনের ব্যাটেই ছিল আস্থার ছবি। দেশের বাইরে কিছু করে দেখানোর সুযোগ ছিল অধিনায়ক মুমিনুলের সামনে। কিন্তু তাদের ৫৯ রানের জুটি শেষ হয় বড় দৃষ্টিকটুভাবে। ৫৯ বলে ৫ চারে ৩০ করে মুমিনুল যে শটে আউট হয়েছেন, নির্ঘাত পুরো রাত আক্ষেপে পুড়বেন তিনি।

শাহিন শাহ আফ্রিদির অনেক বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। এরপর ৩৩ রানের জুটিতে বিপর্যয় বাড়তে না দিয়ে লাঞ্চে যান শান্ত-মাহমুদউল্লাহ। শান্তর ব্যাট ছিল দৃঢ়তায় ভরা। মাঝ ব্যাটে বল লাগছিল, রান বের করতে হচ্ছিল না সমস্যা। পুরোপুরি থিতু হয়ে এগুচ্ছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দিকে। কিন্তু লাঞ্চের পরই মোহাম্মদ আব্বাসের অনেক বাইরের বল অকারণে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।

অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর কাঁধে তখন সকল ভার। কিন্তু দায়িত্বটা তিনি নিলে তো? উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যান টিকতে পারতেন অনায়াসে। বাড়তি কিছু করার চাহিদাও তখন নেই। শাহিনের অফ স্টাম্পের দেড় হাত বাইরে প্রায় ওয়াইড ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গেলেন। স্বাভাবিক লাগল উপরের দিকের কানায়। মাহমুদউল্লাহর ভাগ্য ভাল থাকলে স্লিপের উপর দিয়ে চলে যেতে পারত বাউন্ডারিতে। কিন্তু আসাদ শফিক তা হতে দেবেন কেন। অনেকখানি লাফিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ জমান তিনি। ১০৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।

সবচেয়ে বড় কথা এর তিনটি উইকেটই বড় আফসোসের নাম। তিনজনই যে বেশ পোক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। কেউই শেষ পর্যন্ত টানতে পারলেন না দলকে। ছয়ে নামা মোহাম্মদ মিঠুন আর সাতে নামা লিটন দাস এই অবস্থা থেকে দলকে বাঁচাতে চালাচ্ছিলেন চেষ্টা। 

জুটিও মিলছিল বেশ। ৯০ বলে ৫৪ রানের জুটির পর দ্যুতি ছড়ানো লিটনের বিদায়। মুগ্ধতা ছড়ানো আরেকটি ছোট ইনিংসে লিটন বাড়িয়েছেন আক্ষেপ। ৪৬ বলে ৭ চারে আউট হয়েছেন ৩৩ রান করে। বাঁহাতি স্পিনার হারিস সোহেলের বলে প্যাডেল সুইপ করতে গিয়েছিলেন। আবেদনে আম্পায়ার নাইজেল লঙ সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়ে লিটনকে ফেরায় পাকিস্তান। ১৬১ রানে বাংলাদেশ হারায় ৬ষ্ঠ উইকেট। এতে বেরিয়ে যায় দলের টেলও। 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Government logo

Govt cancels 8 national days including historic 7th March

The interim government has announced the cancellation of eight significant national days, including the one commemorating the historic March 7 speech of Bangabandhu

1h ago