খেলা

দুই বছরের কঠোর পরিশ্রমে স্বপ্ন সত্যি হয়েছে: আকবর

কদিকে উইকেট পড়তে থাকলেও অন্য প্রান্তে আকবর ঠাণ্ডা মাথায় খেলে মাঠ ছাড়েন দলকে জিতিয়ে। ম্যাচ শেষে তিনি সংক্ষেপে জানালেন এই সাফল্যের পেছনের পথটার গল্প।
Akbor Ali

তীরে এসে এবার আর তরী ডোবায়নি বাংলাদেশ। স্নায়ুচাপ জয় করে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা প্রথমবারের মতো ঘরে তুলেছে যুবারা। রোমাঞ্চকর ফাইনালে তিন পেসার শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও অভিষেক দাসের আগুনঝরা বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে আলো ছড়ান পারভেজ হোসেন ইমন ও অধিনায়ক আকবর আলি। একদিকে উইকেট পড়তে থাকলেও অন্য প্রান্তে আকবর ঠাণ্ডা মাথায় খেলে মাঠ ছাড়েন দলকে জিতিয়ে। ম্যাচ শেষে তিনি সংক্ষেপে জানালেন এই সাফল্যের পেছনের পথটার গল্প।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে জিতে অনন্য সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ক্ষণে ক্ষণে রঙ পাল্টানো ফাইনালে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ২৩ বল হাতে রেখে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়েছেন আকবররা। তারা উঁচিয়ে ধরেছেন যুব বিশ্বকাপের শিরোপা। যেকোনো পর্যায়ের ক্রীড়া আসরের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের কোনো দলের এটাই সেরা অর্জন।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ রানে অলআউট হয় ভারত যুব দল। জবাব দিতে নামা বাংলাদেশের ইনিংসের ৪১তম ওভার শেষে নামে বৃষ্টি। তখন দলের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ১৬৩ রান। জয়ের জন্য ৫৪ বলে দরকার ছিল ১৫ রান। তবে বৃষ্টির পর ফের খেলা শুরু হলে বাংলাদেশ পায় নতুন লক্ষ্য- ৩০ বলে ৭ রানের। সেই সমীকরণ মিলিয়ে গোটা দলকে উল্লাস মাতান আকবর ও তার সঙ্গী রকিবুল হাসান। ৪২.১ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭০ রান করে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলনেতা আকবর জানান, গেল দুই বছর ধরে বিশ্বজয়ের জন্য নিজেদেরকে তারা প্রস্তুত করেছেন এবং সেই পরিশ্রমের ফল মিলেছে, ‘পুরোটাই আমাদের গেল দুই বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফল। কোচদের কীভাবে যথেষ্ট ধন্যবাদ জানাব তা জানি না। যখন আমরা এই অভিযান শুরু করেছিলাম, আমরা ফাইনাল খেলতে চেয়েছিলাম এবং শিরোপা জিততে চেয়েছিলাম এবং আমাদের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। এই মুহূর্তে আমি আমার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি খুবই খুশি।’

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত এশিয়া কাপ, ত্রিদেশীয় ও দ্বিপাক্ষিক লড়াই মিলিয়ে মোট সাতটি সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ যুব দল। সেখানে আকবরদের নৈপুণ্য ছিল নজরকাড়া। কেবল দেশে নয়, বিদেশের মাটিতেও দারুণ সফলতা পান তারা। সবমিলিয়ে ৩৬ ম্যাচ খেলে জেতেন ২১টিতে, হার মাত্র আট ম্যাচে। টাই হয় একটি ম্যাচ। এছাড়া পরিত্যক্ত ও বাতিল হয় তিনটি করে ম্যাচ।

গেল বছর ইংল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ওঠার পর শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপেও ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। দুবারই অবশ্য হারতে হয়েছিল ভারতের কাছে। সেই আক্ষেপ আর হতাশা কড়ায়গণ্ডায় মিটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এবার শিরোপা উৎসব করেছেন আকবররা।

Comments

The Daily Star  | English

3 buses set on fire within 10 minutes

The incidents were reported in the capital's Gabtoli, Agargaon, and Sayedabad

2h ago