ছোটদের কাছ থেকে সাফল্যের উপায় বুঝেছেন মুমিনুল
‘সাধারণত বড়রা ছোটদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকে। আগের দিন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে। আপনার কি মনে হয়, যুব দল এখন আপনাদের জন্য রোল মডেল?’
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। চার দিনের মধ্যে অসহায় আত্মসমর্পণের পর বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে কাটাছেঁড়া হওয়াটা অনুমিত থাকলেও যুব দলের সাফল্যগাঁথার কথা উল্লেখ করে মুমিনুল হকের উদ্দেশে এমন প্রশ্ন ছোঁড়া কিছুটা হলেও চমকপ্রদ ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে এমন এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের টেস্ট দলনেতা জানিয়েছেন, ছোটদের কাছ থেকে সফলতা পাওয়ার উপায় বুঝেছেন তারা, ‘জুনিয়র, সিনিয়র দল- সবার কাছ থেকেই শিখতে পারেন। তারা আমাদের বুঝিয়েছে কীভাবে সাফল্য পেতে হয়। তারা খুব ভালো খেলেছে। তাদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
আগের দিন চরম উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ভারতকে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় এক পর্যায়ে ১০২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল আকবর আলির দল। কিন্তু বিশ্বাস হারায়নি যুবারা। তারা পরিচয় দেয় দারুণ ধৈর্যেরও। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক আকবর।
পাকিস্তানের কাছে ইনিংস ও ৪৪ রানে হারের পর যুবাদের নৈপুণ্য থেকে অনেক কিছু শেখার দেখছেন মুমিনুল, ‘তারা খুব ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। যেভাবে তারা ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছে, সেখান থেকে আমাদের শেখা উচিত। আরও একটি বিষয় শেখার আছে... প্রতি মুহূর্তে তারা নিজেদের ওপর বিশ্বাস রেখেছে।’
বিশ্বজয়ী যুবাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলনেতা। ফাইনালে আকবরদের খেলা ও শরীরী ভাষার মধ্যে মুগ্ধ হওয়ার মতো অনেক উপকরণ পেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আশাবাদী হয়ে উঠেছেন, বয়সভিত্তিক এই দলের ক্রিকেটাররা ভবিষ্যতে হয়ে উঠবেন বাংলাদেশের মূল দলের কাণ্ডারি।
‘আমার কাছে মনে হয়, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড়রা খুব বেশি ক্ষুধার্ত ছিল। খুব ভালো ব্যাপার হলো, তারা দুই বছর ধরে একইসঙ্গে খেলছে। একজন আরেকজনকে জানা, ভালো যোগাযোগ, একজনের প্রতি আরেকজনের বিশ্বাস রাখা... মাঠে ওরা যেভাবে একে অপরকে উৎসাহ দিচ্ছিল, প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছিল, এরকম অনেক ইতিবাচক দিক ছিল। আমার কাছে মনে হয়, এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন। এই মুহূর্তে এর চেয়ে বড় কোনো অর্জন হতে পারে না। তাদেরকে অভিনন্দন জানাতেই হয়। আমার মনে হয়, বিশ্বকাপের এই দল থেকে ছয়-সাতজন খেলোয়াড় পাবে বাংলাদেশ, যারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে নেবে।’
পচেফস্ট্রুম থেকে যুবারা গোটা দেশের জন্য গর্বের উপলক্ষ দিলেও রাওয়ালপিন্ডি থেকে তেমন কোনো খবর দিতে পারেননি মুমিনুলরা। সাদা পোশাকে আরেকটি বাজে হারের পর বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘খুবই হতাশাজনক পারফরম্যান্স। কোনো অজুহাত দিতে চাই না। আমি মনে করি, আমাদের অনেক কিছুতে উন্নতি করতে করতে হবে।’
Comments