ইয়াবা দিয়ে কৃষককে ফাঁসানোর চেষ্টা, সোর্সের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

ভুল তথ্য দিয়ে এবং ইয়াবা রেখে লালমনিরহাট সদর উপজেলার ফুলগাছ কাকেয়া গ্রামের এক কৃষককে ফাঁসানোর চেষ্টায় সোর্সসহ অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে সদর থানার উপপরিদর্শক কাজল রায় বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
এতে পুলিশের সোর্স হিমেল অধিকারী পার্থকে (৩২) প্রধান আসামি করা হয়েছে। পার্থ ওই গ্রামের ভজন অধিকারীর ছেলে।
কাজল রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “পার্থকে আমি কখনো দেখিনি। শুধু মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ হতো। ধারণা করছি, পার্থ কোনো পক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ওই কৃষককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। পার্থকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যাবে এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা আছে।”
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজ আলম বলেন, “এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে পুলিশ অবশ্যই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবে। পুলিশের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলেও কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
গত বৃহস্পতিবার ফুলগাছ কাকেয়া গ্রামের কৃষক নীলকান্ত বর্মণকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সদর থানার উপপরিদর্শক কাজল রায় দাবি করেন, সোর্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি নীলকান্ত বর্মণকে আটক করেছিলেন।
নীলকান্ত বর্মণ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “প্রতিদিন কাজ শেষে সন্ধ্যায় আমি ভাটিবাড়ী বাজারে যাই। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেই, চা-পান খাই। সাইকেল বাজারের এক পাশে থাকে। গত পরশু বৃহস্পতিবারও গিয়েছিলাম। বাড়ি ফেরার সময় সদর থানার উপপরিদর্শক কাজল রায় আমাকে দাঁড় করিয়ে বলেন— আমার কাছে ইয়াবা আছে। এরপর আমার সাইকেলের হাতল থেকে কাগজে মোড়ানো অবস্থায় ৮ পিস ইয়াবা বের করে তিনি। আমি হতভম্ব হয়ে যাই।”
“সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে যায়। তারাও বলে এটা ষড়যন্ত্র। কিন্তু কাজল রায় কারো কোনো কথা শোনেননি। তিনি আমাকে থানায় নিয়ে যান। মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ অর্ধশতাধিক মানুষ থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজ আলম বিষয়টি তদন্ত করেন এবং আমাকে ছেড়ে দেন”— বলেন নীলকান্ত বর্মণ।
আরও পড়ুন:
কৃষককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা
Comments