আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে দুইজন। ছবি: স্টার

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। সেসময় অন্তত ১৫টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহতেরা হলেন, আসাদুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান মনা, হাফিজুর রহমান ও মিলন। আহত আরও একজনের পরিচয় জানা যায়নি। এদের মধ্যে আসাদুলের অবস্থা গুরুতর। তাকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিমলা-রোকনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নাসির চৌধুরীর সঙ্গে তার ভাইপো মিনি মালিথার বিরোধ রয়েছে। এর মধ্যে গত দুইদিন আগে পুকুরিয়া গ্রামে মালিথার সমর্থক বাবুল খাঁ’কে না পেয়ে ছমিরন নেছাকে মারধর করে নাসির চেয়ারম্যানের সমর্থকরা।

আজ সকালে চেয়ারম্যান নাসিরের লোকজন আবারও মিনি মালিথার সমর্থক হাফিজুর রহমানের ওপর হামলা করে। সেসময় দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

নাসির চৌধুরী বলেন, “আজ সকালে আসাদুল ও আব্দুল মান্নান মনা, এই দুইজনকে মিনি মালিথা ও মঞ্জুর নেতৃত্বে মারধর করা হয়। পরে আমরা সেখানে গেলে তারা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।”

অন্যদিকে, মিনি মালিথা বলেন, “গত দুই দিন আগেও বাবুল খাঁ’কে না পেয়ে তার স্ত্রীকে মারধর করে তারা। আজ সকালে হাফিজুর রহমানকে মারধর করে। ভুক্তভোগীরা আজ প্রতিরোধ করতে গেলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় নাসির চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা। বোমার বিস্ফোরণে হাফিজুর ও মিলন নামে দুইজন আহত হয়েছেন।”

কালীগঞ্জ থানার এসআই আবুল খায়ের বলেন, “বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ আসার পর কোনো বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। আগে বিস্ফোরণ হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। তেমন কোনো আলামত আমরা এখনো পাইনি।”

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago