চাকরির পেছনে ছোটার মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ এবং যোগ্যতা সম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলায় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের জন্য আরও বেশি অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। যাতে তারা চাকরির পেছনে না গিয়ে নিজেরা উদ্যোক্তা হতে পারে।
PM-1.jpg
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ এবং যোগ্যতা সম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলায় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের জন্য আরও বেশি অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। যাতে তারা চাকরির পেছনে না গিয়ে নিজেরা উদ্যোক্তা হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুব সমাজকে দক্ষ এবং যোগ্যতা সম্পন্ন করে তুলতে ট্রাস্টের মাধ্যমে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হবে, কারণ যাতে করে তারা চাকরির পেছনে না গিয়ে উদ্যোক্তা হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ষষ্ঠ উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে একথা বলেন।

ট্রাস্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাকরির পেছনে ছোটার যে আমাদের মানসিকতা সেটার পরিবর্তন করতে হবে।

তিনি যুব সমাজকে চাকরি করার চাইতে চাকরি দেওয়ায় মনযোগী হওয়ারও আহবান জানান।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা মেধাবী কিন্তু দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্বাবলম্বী করে তোলার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিবারকে আরও উন্নত করতে শিক্ষাগত সহায়তা প্রদানের জন্য এই ট্রাস্ট গঠন করেছি।

উচ্চশিক্ষার জন্য মেডিকেল, প্রকৌশল এবং সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আর্থিক সমস্যায় পড়া দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বৈঠকের আগে শিক্ষাগত সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব করার সময় প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন।

তিনি গণহারে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে দ্বিমত ব্যক্ত করে বলেন, তারা যেন সরকারি ভর্তুকির ওপর নির্ভরশীল হয়ে না পড়ে।

উপবৃত্তি সংক্রান্ত তথ্য আপডেট করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে দায়িত্ব প্রদানের নির্দেশনাও প্রদান করেন।

এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার জন্য সিড মানি হিসেবে আরও পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবে তিনি সম্মতি দেন। এর আগেও সরকার এ লক্ষ্যে পাঁচ কোটি টাকা প্রদান করেছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন সক্ষমতা অনুযায়ী ভর্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।

অর্থের অভাবে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গঠন করা হয়।

২০১১-১২ অর্থ বছরে ট্রাষ্টের সিড মানি হিসেবে এক হাজার কোটি টাকা প্রদান করা হয়।

২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে ৫৫০ দশমিক ৯০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

ট্রাস্টের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য- অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ. মান্নান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাকির হোসেন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউস, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, পিএমও সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান, ইউজিসি চেয়ারম্যান (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম অন্যান্যের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago