১৬৫০ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার নিয়োগে স্থিতাবস্থা
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে ১ হাজার ৬৫০ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ বছরের ১৭ জানুয়ারি এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে কোটা প্রয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এর প্রেক্ষিতেই রুল জারি করে ৩০ দিনের জন্য স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কোটা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে কেন আবার ফল প্রকাশ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কৃষি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চূড়ান্তভাবে চাকরিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হননি এমন ৩৩ জন চাকরিপ্রার্থী এই রিট আবেদন করেছিলেন। কোটা প্রয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে তারা আবার নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের আদেশ চেয়েছেন। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ রোববার রুলসহ আদেশ দেন।
রিটকারীদের আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশের ফলে আগামী ৩০ দিন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে ১ হাজার ৬৫০ জনের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। ২ আগস্ট প্রিলিমিনারি ও ১৩ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা হয়। মৌখিক পরীক্ষার পর এ বছরের ১৭ জানুয়ারি যথাযথভাবে কোটা প্রয়োগ না করেই ফল ঘোষণা করা হয়।
উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি জানান, টাঙ্গাইল জেলা থেকে ৩৩ জনের চাকরি হওয়ার কথা থাকলেও ফলাফলে এই জেলা থেকে ১৪৮ জনের নাম এসেছে। এ ব্যাপারে যথাযথ প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে যোগ করেন তিনি।
Comments