মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পর!

‘সেরা দুর্ঘটনা সেগুলোই, যেগুলো থেকে বেঁচে ফিরে আসা যায়’—প্রবাদটির সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, জীবননাশ কিংবা পঙ্গুত্বের চেয়ে যে কোন ধরনের আঘাত পাওয়া তুলনামূলক ‘ভালো’। মোটরাসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে কী করবেন, তাই নিয়ে এ প্রতিবেদন।

‘সেরা দুর্ঘটনা সেগুলোই, যেগুলো থেকে বেঁচে ফিরে আসা যায়’—প্রবাদটির সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, জীবননাশ কিংবা পঙ্গুত্বের চেয়ে যে কোন ধরনের আঘাত পাওয়া তুলনামূলক ‘ভালো’। মোটরাসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে কী করবেন, তাই নিয়ে এ প্রতিবেদন।

রাইডিং গিয়ার ব্যবহার করা

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু রোধে হেলমেট ৩৭ শতাংশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া, ব্রেন ইঞ্জুরি রোধে ৬৭ শতাংশ কার্যকরী ভূমিকার রাখে হেলমেট। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে থাকা বাহনের আঘাত যদি মাথায় লাগে, তাহলেও মাথার খুলি ফেটে যেতে পারে। শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলো ভাঙলেও আপনি চলতে পারবেন। কিন্তু, মতিষ্কের আঘাতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই প্রয়োজন একটি ভালো মানের হেলমেট। এক্ষেত্রে ডিওটি (মার্কিন পরিবহন সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা অধিদপ্তর) অনুমোদিত হেলমেট ব্যবহার করা ভালো। মাথার সুরক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি হাত ও পায়ের সুরক্ষার জন্যেও কিছু গিয়ার কেনা প্রয়োজন। এসব কিনতে আপনার মোট খরচ হবে ৫০ হাজারেরও কম। কিন্তু দুর্ঘটনায় একবার আহত হলে এর চেয়েও বেশি লেগে যেতে পারে।

সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করুন

যে কোন ধরনের শারীরিক কিংবা মানসিক আঘাতই সামলে উঠতে সময়ের প্রয়োজন হয়। তাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পরপরই নড়াচড়া না করে, আশপাশের কারো সহায়তার জন্য অপেক্ষা করুন। দুর্ঘটনার পরপরই হাঁটা কিংবা মোটরসাইকেল তুলে চালানো শুরু করা ঠিক নয়। এটি মনে রাখা জরুরি, নড়াচড়ার ফলে সামান্য আঘাত থেকেও বড় কিছু হয়ে যেতে পারে। তাই এসময় অন্য কারো সহায়তা নিতে হবে। এছাড়া, দুর্ঘটনাটি যদি নির্জন জায়গায় হয়, তাহলে সহায়তা করতে পারবে, এমন কাউকে আপনিই ফোন করুন।

মেডিকেল তথ্য সঙ্গে রাখুন

ধরুন আপনার ভালোমানের গিয়ার দুর্ঘটনায় আপনার জীবন রক্ষা করল, এমন পরিস্থিতির জন্য আপনার উচিত কিছু মৌলিক তথ্য সঙ্গে রাখা। দুর্ঘটনার পরপরই আপনি স্বাভাবিক কথা বলতে পারবেন, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমিও দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিক কথা বলতে কিংবা কোনো কাজ করতে পারিনি। এক্ষেত্রে কিছু মৌলিক তথ্য লিখে নিজের সঙ্গে রাখা ভালো। যেমন, আপনার নাম, ঠিকানা, জরুরি অবস্থায় যোগাযোর জন্য কারো নাম্বার, রক্তের গ্রুপ ইত্যাদি। এগুলো কাগজে লিখে আপনি হেলমেটের পেছনে এবং নিজের মানিব্যাগে রেখে দিতে পারেন।

সবশেষে, দুর্ঘটনার পরে ‘সামান্য দুর্ঘটনা হয়েছে, দুদিন পর ঠিক হয়ে যাবে’— এমনটি না ভেবে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে যেতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago