‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’

বিকট শব্দে চারপাশে যখন বোমা পড়ছে, তিন বছরের এক শিশু হাসছে প্রাণখোলা হাসি। যেন দারুণ কিছু। কারণ, বাবা তাকে বলেছে এ এমন কিছু নয়! আতশবাজির শব্দে বরং আনন্দ করতে হয়।

বিকট শব্দে চারপাশে যখন বোমা পড়ছে, তিন বছরের এক শিশু হাসছে প্রাণখোলা হাসি। যেন দারুণ কিছু। কারণ, বাবা তাকে বলেছে এ এমন কিছু নয়! আতশবাজির শব্দে বরং আনন্দ করতে হয়।

গল্প নয়, সিরিয়ার ইদলিবে যখন একের পর এক বোমা পড়ছে, ধসে পড়ছে চারপাশের সবকিছু, মরছে মানুষ, তখন যুদ্ধের ভয়াবহতা ভুলে থাকতে তিন বছরের মেয়েকে বাবা শেখাচ্ছেন- হাসতে। খেলাচ্ছলে যুদ্ধের নৃশংসতা থেকে সন্তানকে দূরে রাখতে এই বাবার নিদারুণ চেষ্টা।

সিরিয়ার আব্দুল্লাহ আল মোহাম্মদ ও তার তিন বছরের মেয়ে সালওয়া’র একটি ভিডিও আলোড়ন তুলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওটিতে দেখা যায় বাবা তার মেয়েকে বোমার ভয় দূর করতে খেলা হিসেবে তুলে ধরছেন।

নয় বছরের গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়া। গত ডিসেম্বর থেকে প্রায় নয় লাখ মানুষ ইদলিব ছাড়তে বাধ্য হয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। প্রাণ বাঁচাতে ইদলিবের সারাকিদের বাড়ি থেকে পরিবার নিয়ে পালাতে বাধ্য হন মোহাম্মদ। সারমাদায় বন্ধুর যে বাড়িতে থাকছেন তার চারপাশে প্রায় সবসময়ই বোমা পড়ছে।

যুদ্ধের ভয়াবহতায় আশপাশের অনেক শিশুকেই মানসিক সমস্যায় পড়তে দেখেছেন মোহাম্মদ। আর তাই খেলার ছলে মেয়েকে রক্ষার চেষ্টা তার- জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম স্কাই নিউজকে। “যখনই কোনো বোমা ফাটে, একে আতশবাজি কিংবা খেলনা বন্দুকের আওয়াজ হিসেবে তার সামনে তুলে ধরি”।

“ও একটা বাচ্চা, যে জানে না যুদ্ধ কী-ও যাতে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে না ফেলে- সে জন্যই খেলার মধ্য দিয়ে আমি চেষ্টা করি, বলেন মোহাম্মদ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাখো মানুষ একাত্মতা জানিয়েছেন বাবা-মেয়ের ভিডিওতে। একজন লিখেছেন, “ছোট্ট এ শিশুর হাসি বোমার আওয়াজের চেয়েও অনেক অনেক বেশি শক্তিশালী”।

Comments