কক্সবাজারে সাগরতীরে উঁচু স্থাপনা নয়: প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজারে সাগর তীরে উঁচু স্থাপনা তৈরি না করা নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে কক্সবাজারে নির্মাণাধীন তিনটি বিশেষ ট্যুরিজম পার্কের মাস্টার প্ল্যান দেখে এ নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) ট্যুরিজম পার্ক তিনটি তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে। এর মধ্যে মহেশখালীতে সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্ক, টেকনাফে নাফ ট্যুরিজম পার্ক এবং সাবরং ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণ করা হবে। সাবরং ট্যুরিজম পার্কটি কেবল বিদেশি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগ সহনশীল করে ট্যুরিজম পার্কের স্থাপনা নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ওই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রেখেই ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণ করতে হবে।
সাবরং ট্যুরিজম পার্ককে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে অন্যান্য দেশের পর্যটকেরা এর প্রতি আকর্ষিত হয় এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে আসে।”
নাফ ট্যুরিজম পার্কের বিষয়ে শেখ হাসিনা আগামী তিন বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশনা দেন, যাতে তিনি নিজে এর উদ্বোধন করতে পারেন। তিনটি ট্যুরিজম পার্কে আরও নানারকম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়েও তিনি এসময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর সাবেক অধ্যাপক খায়রুল আনাম অনুষ্ঠানে সাবরং এবং নাফ ট্যুরিজম পার্কের মাস্টার প্ল্যানের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো উপস্থাপন করেন। অন্যদিকে বালাকৃষ্ণান সুরেশ মাহিন্দ্র ভিডিও প্রেজেন্টেশনের সাহায্যে সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন।
সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্কের মাস্টার প্ল্যান তৈরির পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান এসময় জানায় যে আগামী ২৪ মাসের মধ্যেই এখানে পর্যটকরা যেতে পারবেন ও পার্কটিকে সম্পূর্ণ রূপ দিতে নয় বছর সময় লাগবে।
সোনাদিয়ায় দেশের প্রথম ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে বেজা ‘মাহিন্দ্র কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ারস’ এবং ‘ডেভকন কনসালটেন্টস লিমিটেড’কে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিযুক্ত করেছে।
কক্সবাজারের আওতাধীন সাবরং এবং নাফ ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট এবং কোরিয়ার দোহওয়া (ডিওএইচডব্লিউএ) কনসালটেন্ট লিমিটেডকে পরামর্শক সংস্থা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সোনাদিয়ায় ৮ হাজার ৯৬৭ একর জমির ওপর সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্কটি গড়ে তোলা হচ্ছে। যার ৯০৯ একর জমিকে কাজে লাগানো হবে এবং বাদ বাকী অংশ অটুট থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, পিএমও সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রেস সচিব ইহসানুল করিম অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন।
Comments