ক্রসফায়ারের হুমকি, টাকা আদায়, ২ ওসিসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে ২৩ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও ও বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী।
crossfire

ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে ২৩ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও ও বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী।

আজ বুধবার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে মামলা করেন ইয়াসিন এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. ইয়াসিন।

অভিযুক্তরা হলেন- বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রিটন সরকার,  চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান, বায়েজিদ থানার উপপরিদর্শক আফতাব, সহকারী উপপরিদর্শক ইব্রাহীম ও মিঠুন নাথ এবং কনস্টেবল রহমান ও সাইফুল।

বাদীর আইনজীবী শহীদুল ইসলাম সুমন জানিয়েছেন, মামলা আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অর্থ ও প্রশাসন) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শহীদুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ী ইয়াসিনকে তুলে নিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে দুই দফায় ২৩ লাখ টাকা নিয়েছেন অভিযুক্তরা।  

তিনি বলেন, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সকালে বায়েজিদ বোস্তামি এলাকা থেকে ইয়াসিনকে তুলে নিয়ে থানায় আটকে রাখে পুলিশের একটি দল। অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দিয়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন অভিযুক্তরা।  

“সেইদিন রাতে নগদ ১১ লাখ টাকা দেয়ার পর থানা থেকে ছাড়া পান মো. ইয়াসিন”, বলেন শহীদুল।

তিনি জানান, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বায়েজিদ বোস্তামির শেরশাহ এলাকা থেকে সাদা পোশাকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ইয়াসিনকে আবারও তুলে নিয়ে যান। একটি মাইক্রোবাসে করে তাকে অনন্যা আবাসিক এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।  

“সেখানে পুলিশ সদস্যরা ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন ইয়াসিনের কাছে, নয়তো ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেন। আত্মীয়-স্বজনসহ ২৭ জনের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা জোগার করে পুলিশকে দেয়ার পর ছাড়া হয় তাকে,” বলেন শহীদুল।

এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ওসি আতাউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, “ইয়াসিন কে? আমি তো তাকে চিনিই না”।

 

 

Comments

The Daily Star  | English
Net foreign investment in stocks

Foreign investors returning to stock market

After a long time, foreign investors are showing renewed interest in buying shares of listed companies in Bangladesh as they hope good governance will return to the local stock market following the recent political changeover.

11h ago