জোড়া উইকেট তুলে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরালেন নাঈম
ক্রমেই বাংলাদেশের বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন প্রিন্স মাসাউরে ও অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। শতরান পার করা জুটিতে দারুণ কিছু করার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন এ দুই ব্যাটসম্যান। তাতে ম্যাচটা সফরকারীদের দিকেই হেলে ছিল। তবে নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে প্রাণ পেয়েছে টাইগাররা। জুটি তো ভেঙেছেন বটেই, এরপরও আরও একটি উইকেট তুলে নিয়েছেন এ তরুণ। তাতে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ দল।
অবশ্য দিনের শুরুটা খারাপ ছিল না বাংলাদেশের। প্রথম ঘণ্টায় ভালো মুভমেন্ট আদায় করেছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। দলীয় ৭ রানে ওপেনিং জুটিও ভেঙ্গেছিলেন আবু জায়েদ রাহী। কিন্তু এরপর মাসাউরের সঙ্গে অধিনায়ক আরভিনের অসাধারণ এক জুটিতে এগিয়ে যাচ্ছিল জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় উইকেটে ১১১ রান যোগ করেছেন মাসাউরে ও অধিনায়ক আরভিন। ব্যক্তিগত ৬৪ রানে মাসাউরেকে ফেরান নাঈম। নিজের বলে নিজেই নিয়েছেন ক্যাচ। ঝুলিয়ে দেওয়া বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন মাসাউরে। অবশ্য এ জুটি আগেই ভাঙতে পারতেন নাঈম। তার বলে দুইবার ক্যাচ তুলেছিলেন মাসাউরে। কিন্তু একবারও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ফিল্ডাররা।
জুটি ভাঙার পরের ওভারে ফের বোলিং করতে এসে জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রান্ডন টেইলরকেও ফেরান নাঈম। তবে এ উইকেটটি কিছুটা উপহারই দেন টেইলর। ভাগ্যও সঙ্গে ছিল। টানা দুই বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়েছিলেন টেইলর। বল ভেতরের দিকে লেগে পায়ে লাগার পর মাটিতে পড়ে গড়িয়ে স্টাম্প ভাঙলে উল্লাসে মেতে ওঠেন টাইগাররা।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে উইকেটের হাবভাব দেখে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। উইকেট থেকে সকালের আর্দ্রতা কাজে লাগিয়ে মুভমেন্ট আদায় করে তেতে ছিলেন দুই পেসার। তবে তাদের ঝাঁজ সামলে দৃঢ়তা দেখান জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। ধীরে ধীরে দাপট বাড়ে তাদের।
বিশেষ করে প্রিন্স মাসাউরে ছিলেন ভীষণ স্বচ্ছন্দ। খুব বাড়তি কিছুই করতে যাননি। সময় নিয়ে থিতু হয়েছেন। পরে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের সঙ্গে মিলে রান বাড়িয়েছেন দলের। পেসারদের স্পেলের পর দুই স্পিনার এসেও টলাতে পারেননি তাদের। ফলে দিনের প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নেন তারা।
Comments