এমন উইকেট পেয়ে চমকে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে

উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য বেশ ভালো, আবার জায়গায় বল করলে পেসার, স্পিনার সবার জন্যই থাকছে রসদ। বাংলাদেশে এমন স্পোর্টিং উইকেট পেয়ে রীতিমতো বিস্মিত জিম্বাবুয়ে।
Craig Ervine
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

গত কয়েক বছর থেকেই বাংলাদেশে খেলা মানে প্রথম দিন থেকেই ঘূর্ণি বলের নাচানাচি। বিশেষ করে মিরপুরের উইকেট প্রথম সেশন থেকেই খেলা চলে যায় স্পিনারদের দখলে। কিন্তু এবার তা একেবারেই ভিন্ন। উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য বেশ ভালো, আবার জায়গায় বল করলে পেসার, স্পিনার সবার জন্যই থাকছে রসদ। বাংলাদেশে এমন স্পোর্টিং উইকেট পেয়ে রীতিমতো বিস্মিত জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ও সেঞ্চুরিয়ান ক্রেইগ আরভিন জানালেন, উইকেট এত ভালো হওয়াতেই ম্যাচে যা পরিস্থিতি তাতে তারা বড় সুযোগ হেলায় হারিয়েছেন। 

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৬ উইকেট ২২৮ রান করেছে জিম্বাবুয়ে। তারমধ্যে ১০৭ রানই করেছেন আরভিন।

শন উইলিয়ামসের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কত্ব করতে নেমেই তুলেন সেঞ্চুরি। অষ্টম ওভারে প্রথম উইকেট পড়ার পর তিনে ব্যাট করতে নেমেছিলেন বাঁহাতি আরভিন। আউট হয়েছেন দিন শেষ হওয়ার ১০ বল আগে। অর্থাৎ দিনের প্রায় পুরোটা সময় ক্রিজে ছিলেন তিনি। দিন শেষে নিজেদের পিছিয়ে রেখে জানালেন, এমন ভালো উইকেট পাবেন আশা ছিল না তাদের, ‘আমরা উইকেট দেখে বেশ চমকে গিয়েছি। সাধারণত লোকে বলে ঢাকার উইকেটে কি হয় বোঝা মুশকিল। আমার মনে হয় এটা বেশ ভালো উইকেট এই কারণেই দিনশেষে ম্যাচের যা অবস্থা তাতে বাংলাদেশ কিছুটা এগিয়ে। কারণ সম্ভবত আমরা দুই-তিনটা উইকেট বেশি হারিয়ে ফেলেছি।’

এমন উইকেটেও জিম্বাবুয়ের রাশ টেনে ধরার বড় কৃতিত্ব বাংলাদেশের বোলারদের। দুই পেসার বল করেছেন নিখুঁত লাইন-লেন্থে। তাদের এনে দেওয়া চাপ থেকে ফায়দা তুলেছেন স্পিনার নাঈম হাসান। ৬৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনিই নায়ক। বাংলাদেশের বোলারদের প্রশংসা ঝরল আরভিনের কণ্ঠেও,  ‘উইকেট বেশ ভালো ছিল। বাংলাদেশ সত্যিই খুব ভাল বল করেছে। নিখুঁত লাইনে অবিরাম বল করে গেছে তারা। আমার জন্য ছিল ধৈর্যের পরীক্ষা। উইকেটে খুব বেশি কিছু হচ্ছিল না। কিন্তু তারা ভাল জায়গায় বল ফেলেছে। আমি চেষ্টা করেছি রান বের করতে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago