বিদেশিবিহীন প্রিমিয়ার লিগ, ইতিবাচক কিছু দেখছেন না রকিবুল

দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। সবচেয়ে মর্যাদারও বটে। এ লিগে খেলে গেছেন বিশ্ববরেণ্য অনেক খেলোয়াড়। অনেক কিংবদন্তিরাও এসেছেন। অথচ এবার প্রিমিয়ার লিগে থাকছে না কোন বিদেশি খেলোয়াড়। দেশের খেলোয়াড়দের আরও বেশি সুযোগ দিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। কিন্তু এ সিদ্ধান্তের ইতিবাচক কিছু দেখছেন না বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান।

দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। সবচেয়ে মর্যাদারও বটে। এ লিগে খেলে গেছেন বিশ্ববরেণ্য অনেক খেলোয়াড়। অনেক কিংবদন্তিরাও এসেছেন। অথচ এবার প্রিমিয়ার লিগে থাকছে না কোন বিদেশি খেলোয়াড়। দেশের খেলোয়াড়দের আরও বেশি সুযোগ দিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। কিন্তু এ সিদ্ধান্তের ইতিবাচক কিছু দেখছেন না বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান।

রোববার সিসিডিএম কার্যালয়ে প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেওয়া ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে সিসিডিএম সভাপতি কাজী এনাম আহমেদ বললেন, 'ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এবার বিদেশি খেলোয়াড় খেলার সুযোগ রাখছি না। আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য এটা দারুণ সুযোগ। আমাদের বিসিএল, এনসিএলে কিন্তু বিদেশি খেলোয়াড় নেই। এই বছর আমরা এটা করে দেখতে চাই। বোর্ড ও ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

এরপর থেকেই আলোচনা দেশের ক্রিকেটে শেষ কবে বিদেশি ছাড়া খেলা হয়েছে। স্মৃতি হাতড়ে শুরুর দিকে কথা জানালেন রকিবুল। ঢাকা লিগের শুরু থেকেই খেলে আসছেন তিনি। এ আসরের নাড়ির খবরটা খুব ভালো করেই জানা তার, 'বিদেশি আসা শুরু করেছে ৭৬ সাল থেকে। আমি যতদূর জানি এটা সবসময়ই উন্মুক্ত ছিল। তবে ক্লাব ওই ৭৫/৭৬ থেকে আনা শুরু করেছে। প্রথমদিকে মোহামেডানে কলকাতার পঞ্জজ রয়ের ছেলে প্রণব রয়কে এনেছিল। এরপর ধারাবাহিকতায় আবাহনী আনে ফার্নান্ডোকে। এরপর আস্তে আস্তে প্রায় সব দলই আনা শুরু করে। ৮৫/৮৬ থেকে অনেক বেশি খেলোয়াড় আসা শুরু করে। অনেক শ্রীলঙ্কান ও কলকাতার খেলোয়াড়রা তখন আসতো।'

গত কয়েক বছর ধরে লিগে একজন করে বিদেশি খেলোয়াড় খেলাতে পারতো। এর আগে কখনো দুইজন, কখনো তিনজন, এমনকি কখনো চারজনও খেলার সুযোগ ছিল। খেলেও গেছেন অনেক নামি দামী খেলোয়াড়। ওয়াসিম আকরাম, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, সনথ জয়সুরিয়া, সৌরভ গাঙ্গুলি, অজয় জাদেজা, মোহাম্মদ ইউসুফ, সেলিম মালিক, ইজাজ আহমেদ, রমেশ কালুভিথারানা, নিল ফেরায়ব্রাদার, রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ, শোয়েব মালিক, ইউসুফ পাঠানদের মতো খেলোয়াড় খেলতেন নিয়মিত।

এবার কোন বিদেশি থাকছেন না, এর ইতিবাচক কিছু দেখছেন না রকিবুল, 'এটাকে আমি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছি না। আমি জানিনা এটা কেন করা হয়েছে। হয়তো আমাদের খেলোয়াড়দের আরও বেশি সুযোগ দিতে করেছে। তবে সুযোগ ঠিক আছে। কিন্তু যদি মানের বিদেশি খেলোয়াড় আনা যায় তাহলে এটা আরও ভালো হতো। তাদের সঙ্গে খেলে ড্রেসিং রুম শেয়ার করে অনেক কিছু শিখতে পারতো।'

বিদেশি খেলোয়াড় একেবারে নিষিদ্ধ না করে ভালো মানের খেলোয়াড় নিশ্চিত করলে আসরের জৌলুশ আরও বাড়ত বলে মনে করেন রকিবুল, 'ক্লাবগুলোর ফান্ডিংয়েরও ব্যাপার আছে, ক্রিকেট বোর্ডও হয়তো দেশের খেলোয়াড়দের কথা চিন্তা করেছে। আমি মনে করি পৃথিবী পেশাদার জায়গা। এখানে কোয়ালিটির মূল্য হবে। বিভিন্ন দেশে যেসব লিগ হয়, কাউন্টি ক্রিকেট হতে সব জায়গায় বিদেশি খেলোয়াড় থাকে। আমরা এখনও শিখছি। আমাদের এখানে ভালো খেলোয়াড় আসলে... তবে যদি এটা নিয়ম করে দিত যে যারা আসবে তারা অবশ্যই ভালো মানের খেলোয়াড় হতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now