শীর্ষ খবর

যুবলীগ নেতা খালেদের বিরুদ্ধে সিআইডির অভিযোগপত্র

অর্থপাচার মামলায় যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আজ অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
Khalid Mahmud Bhuiyan
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, পুলিশের হেফাজতে যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামি খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

অর্থপাচার মামলায় যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আজ অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

অভিযুক্ত অন্যরা হলেন—খালিদের দুই ভাই মাসুদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও হাসান মাহমুদ ভূঁইয়া, সহযোগী হারুনুর রশিদ, শাহাদাত হোসেন উজ্জ্বল ও মোহাম্মদ উল্লাহ খান। অভিযুক্তদের মধ্যে খালেদ ও মোহাম্মদ উল্লাহ ছাড়া অন্যরা পলাতক।

সিআইডির পরিদর্শক ও এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইবরাহিম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা পলাতক চার জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তিনি।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, পাসপোর্টে ডলার এনডোর্স না করেই বিভিন্ন দেশ ঘুরেছেন খালেদ। এভাবেই তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। সিঙ্গাপুরে এম/এস অর্পণ ট্রেডার্স (প্রা.) লি. নামে তার একটি কোম্পানি রয়েছে। হুন্ডির মাধ্যমে এই কোম্পানির একাউন্টে অর্থ পাচার করেছেন তিনি।

এছাড়া থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ব্যাংকে খালেদের একাউন্টে ২০ লাখের বেশি থাই বাথ থাকার কথা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্ত চলাকালে মোহাম্মদ উল্লাহ খালেদের এসব অপরাধের কথা জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন।

অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গুলশানে তার বাড়ি থেকে একটি শটগান, দুটি পিস্তল, শটগানের ৫৭টি গুলি ও ৫৮৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। সেদিনই তার মালিকানাধীন রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাব থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থসহ ১৪২ জনকে আটক হন। পরে যুবলীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

খালিদের বিরুদ্ধে গুলশান ও মতিঝিল থানায় মোট পাঁচটি মামলা হয়েছে। এর আগে অস্ত্র ও মাদকের মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

Comments

The Daily Star  | English
Awami League didn't nominate anyone in 2 seats

Seat-sharing for JS polls: AL keeps its allies hanging

A crucial meeting between the Awami League and its 14-party allies ended last night without any concrete decisions on seat sharing.

9h ago