মুমিনুলের পর মুশফিকেরও সেঞ্চুরি
মনে হচ্ছিল লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরি করে ফেলবেন মুশফিকুর রহিম। বিরতির আগে চার মেরে পৌঁছে গিয়েছিলেন ৯৯ রানে। কিন্তু ঝুঁকি না নিয়ে ওখানেই থেমে থাকেন। লাঞ্চের পর ফিরে বাউন্ডারি মেরে উঁচিয়ে তুলেছেন ব্যাট। দশ ইনিংস পর টেস্টে আরেকবার তিন অঙ্কে পৌঁছে উদযাপনটাও ব্যতিক্রম তার। সপ্তম সেঞ্চুরির পর দুহাতে ব্যাট ধরে শূণ্যে পুলের ভঙিমায় ব্যতিক্রমী উদযাপন করতে দেখা যায় তাকে।
২০১৮ সালে নভেম্বরে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে একই মাঠে মুশফিকুর রহিম খেলেছিলেন ২১৯ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। এরপর ১০ ইনিংসে ফিফটি পেরিয়েছেন দুবার, কিন্তু সেঞ্চুরির কাছে যাওয়া হচ্ছিল না তার। আবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নেমে সেই মিরপুরেই বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান পেলেন আরেকটি শতক।
সেঞ্চুরির পথে শুরু থেকেই সাবলীল ছিল মুশফিকের ব্যাট, বড় কোন সুযোগ দেননি প্রতিপক্ষকে। স্ট্রোকঝলমলে ইনিংসে ১৬০ বলে ১৮ চার মেরে মুশফিক পৌঁছান তিন অঙ্কে। স্পিনারদের সুইপ করেছেন অহরহ, পেসারদের বলে দেখা গেছে চিরায়ত কাভার ড্রাইভ, রান বের করেছেন স্কয়ার কাট আর পুলেও। সাম্প্রতিক সময়ে ছন্দেই ছিলেন মুশফিক। পাকিস্তানে না যাওয়ায় রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে খেলা হয়নি তার। এর আগে ভারত সফরে গিয়ে বাকিদের চরম ব্যর্থতার মাঝে একমাত্র উজ্জ্বল ছিল তার ব্যাট। গত নিউজিল্যান্ড সফরে হ্যামিল্টন টেস্টে তিন সেঞ্চুরির পর পাঁচ টেস্টে কোন সেঞ্চুরি ছিল না বাংলাদেশের। এবার সেই খরা কাটল জোড়া শতকে।
জোড়া সেঞ্চুরির পাশাপাশি তৃতীয় উইকেট জুটিতেও ১৮০ ছাড়িয়েছে গেছেন মুশফিক-মুমিনুল। জিম্বাবুয়ের ২৬৫ রানের জবাবে হাতে ৭ উইকেট রেখে এরমধ্যে লিড একশোর কাছে নিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। মুশফিকের সেঞ্চুরির সময় বাংলাদশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৫৭।
Comments