তিনশ করার তো সুযোগ দিলেন না: মুশফিক
দেশের বাইরে তো বটেই, ঘরের মাঠেও এমন উইকেট সচরাচর পান না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দেশের মাটিতে বরাবরই স্পিনিং উইকেটে খেলে আসছেন তারা। সেখানে এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে স্পোর্টিং উইকেট দেখেই চোখ চকচক করে উঠেছিল মুশফিকুর রহিমের। ভালো কিছু করার প্রত্যয় তখন থেকেই। ভেবেছিলেন এবার হয়তো অধরা ট্রিপল সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করবেন।। কিন্তু সে সুযোগ পেলেন না। ইনিংস ঘোষণা করে ফেলায় কিছুটা হলেও আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের তৃতীয় দিনে এদিন দারুণ এক ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিক। ডাবল যখন করেন তখন ছয়টি উইকেট পড়েছে টাইগারদের। সামনে সময় ছিল পুরো দুই দিন। মুশফিকের মতো নিজেদের ভালো বোলিং লাইনআপ থাকায় শেষ চার পাঁচ সেশনই হয়তো যথেষ্ট ছিল জিম্বাবুয়েকে আউট করতে। তাই তিনশত রানের ম্যাজিক ফিগারে যাওয়ার জন্য সময়টা পেতেই পারতেন তিনি। তাই সংবাদ সম্মেলনে আক্ষেপ করেই বললেন, 'তিনশ করার তো সুযোগ দিলেন না, সুযোগ দিলে হয়তো চেষ্টা করতাম।'
এতো দ্রুত যে ইনিংস ঘোষণা করা হবে তা তা চা বিরতির আগেও জানতেন না মুশফিক, 'সত্যি বলতে কি আমি আশা করিনি এখনই ইনিংস ঘোষণা করবে। আমাদের হাতে দুই দিন সময় ছিল... তবে দল প্রথমে। চা বিরতির সময়েও আলোচনা হয়নি। আধা ঘণ্টা আগে জানতে পারি যে আমরা শেষ দিকে ৮ ওভারের মতো দিব। তখন আমরা একটু দ্রুত রান করা চেষ্টা করেছি।'
'তার আগে পরিকল্পনা ছিল লিটন থাকলে মানে একজন ব্যাটসম্যান থাকলে আমার জন্য সহজ হয়। তাহলে ও যদি একটা একশ করে তাহলে আমারো হয়তো তিনশ স্পর্শ করবে। সেটা হয়তো আজকে না। তবে কাল সকালেই প্রথম সেশনে অবশ্যই হয়ে যেত। তবে সবমিলিয়ে আবার যদি কখনো সুযোগ আসে তাহলে চেষ্টা করব কাজে লাগানোর। তবে যেটা হয়েছে আমাদের দলে জন্য ভালো হয়েছে।'
ধারণা করা হচ্ছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের কারণেই এতো দ্রুত ইনিংস ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী দুই দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিনও মাঝে হালকা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। তবে কেন আগে করা হয়েছে তা জানেন না মুশফিক, 'হয়তো হতে পারে। আমি এখনও জিজ্ঞাসা করি নাই। আমাদের খুব ভালো কোয়ালিটি বোলিং অ্যাটাক আছে। আমার মনে হয় আমরা তাদের অলআউট করে দিতে পারতাম। আমার মনে হয় এই ইনিংসটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে আশা করছি।'
তবে শুধু মুশফিক নন, দেশের যে কোন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ট্রিপল সেঞ্চুরি করার ক্ষমতা রাখেন বলে মনে করেন তিনি, 'অবশ্যই সম্ভব। আমি মনে করি টপ অর্ডারে যারা ব্যাট করে সবার জন্যই সম্ভব। এমনকি শান্ত যদি কালকের সেশন এবং আজকে যদি চা বিরতি পর্যন্ত খেলত তাহলে ওরও ডাবল হয়ে যেত। ওর ঘরোয়াতেও হয়েছে। এটা যে কোন টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের জন্য সুযোগ। তবে সামনে সুযোগ আসলে অবশ্যই চেষ্টা করব। শুধু একটা না... আপনি যদি বিশ্ব ক্রিকেটে দেখেন অনেকেরই কিন্তু তিনটা দুইটা করে ট্রিপল সেঞ্চুরি আছে। ওরা করতে পারলে আমরা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা কেন করতে পারব না?'
Comments