‘পরেরবার তাহলে চারশ-পাঁচশ করার কথা বলতে হবে’

মুমিনুল হক কথা দিয়েছিলেন, ডাবল সেঞ্চুরি-ট্রিপল সেঞ্চুরি আসবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে তার চাওয়া অনেকাংশে পূর্ণ হয়েছে। ইনিংস ব্যবধানে জেতার পর গণমাধ্যমকর্মীরা সেই প্রসঙ্গ তুলতে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মজা করেই জানালেন, পরেরবার সতীর্থদের ৪০০-৫০০ রান করার কথা বলবেন তিনি।
Mominul Haque
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মুমিনুল হক কথা দিয়েছিলেন, ডাবল সেঞ্চুরি-ট্রিপল সেঞ্চুরি আসবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে তার চাওয়া অনেকাংশে পূর্ণ হয়েছে। ইনিংস ব্যবধানে জেতার পর গণমাধ্যমকর্মীরা সেই প্রসঙ্গ তুলতে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মজা করেই জানালেন, পরেরবার সতীর্থদের ৪০০-৫০০ রান করার কথা বলবেন তিনি।

মিরপুর টেস্টে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যদের ব্যাট করার সুযোগ মেলে এক ইনিংস। তাতেই অভিজ্ঞ তারকা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম স্বাদ নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরির, যে কীর্তি নেই বাংলাদেশের আর কারও। ব্যাট হাতে বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া মুমিনুলও নিজেকে ফিরে পেয়ে তুলে নেন সেঞ্চুরি। টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড নবম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তিনি বসেছেন তামিম ইকবালের পাশে।

মুশফিক-মুমিনুলদের নৈপুণ্যের ম্যাচে বাংলাদেশ শিবিরে ফিরেছে স্বস্তি। আগের টানা ছয় টেস্টে হারের পর (যার পাঁচটাই ছিল ইনিংস ব্যবধানে) জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনে জয় এসেছে ইনিংস ও ১০৬ রানে। অফ স্পিনার নাঈম হাসান ও বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের ঘূর্ণি জাদুতে দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৮৯ রানে।

এই টেস্ট শুরুর আগের দিন মুমিনুল বলেছিলেন, ‘পুরো দলের কথাই বলছি, আমার কথা বলছি না। সংবাদ সম্মেলনে দলের কথাই বলি। ওই কথাই, আমাদের দলের কেউ এবার ১০০, ২০০ বা ৩০০ করবে। কথা দিলাম।  যে কেউই হোক, বড় ইনিংস খেলবে।’

তার সেই চাওয়া আর প্রাপ্তি প্রায় একবিন্দুতে মিলে যাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট দলনেতা হালকা চালেই বললেন, ‘আমি যখন আশা করি, তখন বড় বড় আশা করি। আমি ১০০-১৫০ এর জন্য আকাঙ্ক্ষা করি না, ২০০-৩০০ এর জন্য আকাঙ্ক্ষা করি। ৩০০ এর কথা বলেছিলাম, মুশফিক ভাই ২০০ করে ফেলছেন। পরেরবার ৪০০-৫০০ এর কথা বলতে হবে, তাহলে কেউ হয়তো ৩০০-৪০০ করবে।’

মুমিনুলের নেতৃত্বে আগের তিন টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে মুমিনুল নিজেও করেছিলেন হতাশ। এবার ঘরের মাঠে চেনা পরিবেশে আরও একবার জ্বলে ওঠার পর নিজের পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন  করে তিনি বললেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, অধিনায়ক হিসেবে এবং দলের একজন সদস্য হিসেবে সবসময় সবার কাছে এটা কাম্য (অবদান রাখা)। আমি দলের জন্য কিছু অবদান রাখতে পেরেছি এবং সেটা করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। আমার কাছে মনে হয় ছোট ছোট অবদান রাখাটাও অনেক বেশি কিছু।’

Comments