মাঠের ‘বাইরের ইস্যু’ ঠিক করার চেষ্টায় আল-আমিন
সীমিত পরিসরের ক্রিকেটে এক সময় দলের মূল বোলারদের একজন হয়ে উঠেছিলেন আল-আমিন হোসেন। কিন্তু জায়গাটা ধরে রাখতে পারেননি নিজেরই ভুলে। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ২০১৫ বিশ্বকাপে গিয়েও কোনো ম্যাচ না খেলে দেশে ফিরতে হয়েছিল তাকে। এখন দলে আসেন, আবার বাদ পড়েন। সম্প্রতি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ে ফিরেছেন ওয়ানডে দলে। কিন্তু এর মাঝেই বিসিএলে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে শাস্তি পেয়ে তিনি এসেছেন খবরে।
আগের দিন বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা যখন চলছিল মিরপুরে, চট্টগ্রামে বিসিএলের ফাইনালে দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে খেলছিলেন আল-আমিন। সে ম্যাচেই অসংযত আচরণের জন্য জরিমানা গুণেছেন তিনি।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসে আল-আমিন যোগ দেন ওয়ানডে দলে। আগামীকালই দলের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে তিনি যাবেন সিলেটে। তার আগে গণমাধ্যমের সামনে এসে স্বাভাবিক কারণেই তাকে কথা বলতে হয়েছে ফের শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রসঙ্গে।
আল-আমিনের নিজেরই উপলব্ধি, একটা সময় দলে নিয়মিত পারফর্মার হলেও জায়গা হারিয়েছিলেন খেলার বাইরের ইস্যুর কারণে। মাত্রই একটা সাজা পাওয়ার পর বললেন, সেই কারণগুলোই না-কি ঠিক করার চেষ্টায় আছে তিনি, ‘আমি যখন বাদ পড়েছি, খেলার কারণে সম্ভবত বাদ পড়িনি। কিছু ইস্যু ছিল। সেগুলো ঠিক করার চেষ্টা করেছি। ভুল করলেই কেবল ভুল বোঝা যায়। মানুষ ভুল থেকেই শেখে। এটা শৃঙ্খলার ইস্যু হতে পারে, ক্রিকেটের ইস্যু হতে পারে। শেখার তো কোনো শেষ নেই।’
ভারত ও পাকিস্তান সফরে টেস্ট দলে ছিলেন। ভারতে খেলছেন গোলাপি বলের টেস্টেও। কিন্তু এরপর লাল বলে তার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তাই জিম্বাবুয়ে টেস্টে বাদ দেওয়া হয় আল-আমিনকে, রাখা হয় সীমিত ওভারের ক্রিকেটের দলে। আল-আমিন নিজে অবশ্য লাল বলের ক্যারিয়ারের এখনই শেষ দেখছেন না, আছেন সুযোগের অপেক্ষায়, ‘শুধু সাদা বলের চিন্তা করলে তো বিসিএল ফাইনালে খেলতে যেতাম না! সাদা বলের অনুশীলনই করতাম। যারা টেস্টে ছিল না, কোচের সঙ্গে সাদা বলে অনুশীলন করেছে। আমারও করার কথা ছিল। কিন্তু বিসিএল ফাইনালে খেলতে গিয়েছি। এখন টিম ম্যানেজমেন্টে যারা থাকেন, তাদের নানা রকম ভাবনা থাকে কাকে কীভাবে কাজে লাগাবে। আমার চিন্তা-ভাবনা, আমি সব বলে খেলতে চাই। যেখানে সুযোগ আসবে, ভালো করার চেষ্টা করব। টেস্টে এখন আমাকে বিবেচনা করছে না। হয়তো আবার বিবেচনা করবে। কারও ইনজুরি বা কোনো কারণে সুযোগ আসতে পারে। সেসব মাথায় রেখেই নিজেকে ফিট ও প্রস্তুত রাখি।’
বারবার যাওয়া-আসার চক্র পেরিয়ে দলে থিতু হতে পারা অবশ্য কেবল নিজের উপরই নয়, নির্বাচকদের উপরও নির্ভর করে বলে মত তার, ‘আসলে আমি মনে হলে তো হবে না। আমার কাজ দিয়ে মনে করাতে হবে। দেখেন, যে সময় গোলাপি বলে টেস্ট হলো, ভালোই করেছি। পরে আর সুযোগ পাইনি। টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পাচ্ছি, ভালোই করছি। এখন ওয়ানডেতে আমার সুযোগ। যদি ভালোভাবে সুযোগ পাই, কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। দলে থিতু হওয়ার চেষ্টা করব।’
Comments