পাহাড় কেটে উন্নয়ন বোর্ডের ‘উন্নয়ন’!

ছবি: সঞ্জয় কুমার বড়ুয়া

বান্দরবানে পাহাড়িদের ঘর, জুম চাষের জমির ওপর দিয়ে সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে। রোয়াংছড়ি থেকে রুমা পর্যন্ত ২০ কি.মি সড়ক নির্মাণে প্রায় ৫০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ পাননি তারা। প্রতিবাদ করতে গেলে নানা ধরনের হুমকি দেয়া হয়।  

জানতে চাওয়া হলে, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল আজিজ জানান, 'সড়ক নির্মাণে কিছু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উন্নয়ন বোর্ড থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনো বিধান নেই। এরপরেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য কী করা যায়, তা নিয়ে আমরা ভাবছি।’

গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সড়কটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪৮ কোটি টাকা। ২০২২ সালের মধ্যে সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

রুমা উপজেলার চান্দা মৌজার হেডম্যান ছামাউ মারমা বলেন, ‘সড়কটির কারণে আমাদের আম, কলা, হলুদ, বাঁশ বাগান ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা প্রতিবাদ করতে চাইলে মামলার ভয় দেখানো হয়। জুম চাষ করতে না পারলে কীভাবে আমরা পাহাড়ে টিকে থাকব?’

রোয়াংছড়ি উপজেলার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা দ্য ডেইলি স্টার প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, খামতাং পাড়ার প্রায় ২০টি পরিবারের বিভিন্ন ফলজ বাগান নষ্ট হয়েছে। পাড়ার ঠিক মাঝখান দিয়ে রাস্তাটি তৈরি হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা।

তাদের অভিযোগ, সড়কের কারণে তাদের শ্মশান এবং জুম ঘরটিও নষ্ট হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট এ কে এম ছামিউল আলম কুরসি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বিচারে পাহাড় কাটার বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টির খোঁজ নিয়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

9h ago