তোয়ালে দিয়ে বাংলাদেশের অন্যরকম ব্যাটিং অনুশীলন
তিন নম্বর নেটে তখন ব্যাট করছিলেন মুশফিকুর রহিম। ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি এসে অন সাইডের নেটে লাগিয়ে দেন কমলা রঙের তোয়ালে। অর্থাৎ তোয়ালে যেন ফিল্ডার, মুশফিকের শর্ট মিড উইকেট এলাকা তাই বন্ধ। তামিম ইকবাল, লিটন দাসদের অনুশীলনের সময় আবার তোয়ালে একটার বদলে বেড়ে গেল আরও তিনটা। একেক ব্যাটসম্যানের কাছে রান বের করার বার্তাও যাচ্ছিল সময়ে সময়ে বদলে।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে ফিল্ডারদের ফাঁকি দিয়ে রান বের করার বিশেষ অনুশীলন চালিয়েছে বাংলাদেশ দল।
তামিম তিন নম্বর নেটে স্পিনারদের খেলতে আসতেই ম্যাকেঞ্জি অন, অফ দুই দিকেই লাগিয়ে দেন দুটি তোয়ালে। পাওয়ারপ্লে চলমান, তামিমকে ৩০ গজের বৃত্তে ঘিরে থাকা ফিল্ডারদের এড়িয়ে বের করতে হবে রান। ঠিক একই চ্যালেঞ্জ দেওয়া হলো আরেক ওপেনার লিটন দাসকেও।
আবার নিচের দিকে যারা ব্যাট করেন সেই মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বা মেহেদী হাসান মিরাজদের জন্য তোয়ালের অবস্থান বদলালেন দুই কোচ রাসেল ডমিঙ্গো আর ম্যাকেঞ্জি। এসব চ্যালেঞ্জ নিয়ে কেউ পারলেন, কেউ তোয়ালে বরাবরই মারলেন শট। কোচরা এসে আবার শোধরে দিলেন।
এক নম্বর নেটে পেসারদের সামলাচ্ছিলেন মিরাজ। কিন্তু বেশ নড়বড়ে দেখাচ্ছিল তাকে। নীরিহ বলগুলোও যেন সাঁই সাঁই করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। ম্যাকেঞ্জি পিছন থেকেই চিৎকার- ‘তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে ১৭০ কিমির বল খেলছ।’ মিরাজের অহেতুক এলোপাথাড়ি চেষ্টা দেখে ডমিঙ্গো এসে বলে যান, ‘তুমি এভাবে স্লগ করছ, মনে হচ্ছে এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান খেলছে।’
আবার সাইফুদ্দিন কোচের দেওয়া কৃত্রিম প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে বড় শট খেলতেই এলো, ‘ওয়েলডান’ আওয়াজ। তোয়ালে দিয়ে এমন অনুশীলনের উদ্দেশ কি? বেরিয়ে যাওয়ার সময় জিজ্ঞেস করতে ম্যাকেঞ্জি জানান, ‘খুব সাধারণ ব্যাপার, ম্যাচের পরিস্থিতি আর ফিল্ডিং পজিশন বুঝে রান বের করার প্রস্তুতি নিতেই এটা করা।’
বেশ কিছুদিন থেকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অহেতুক ডট বল খেলে চাপ বাড়ানোর সমালোচনা শুনতে হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজে বাংলাদেশ চাইছে যতবেশি সম্ভব স্কোরিং শট বাড়াতে।
Comments