মৌলভীবাজারে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত নিহত
মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ডাকাতি করে পালানোর সময় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বুলু মিয়া নামে এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য। ঘটনার সময় আটক করা হয়েছে দুই ডাকাতকে।
আজ শনিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে সদর উপজেলার কাগাবালা ইউনিয়নের আতানগিরি এলাকার ভোরুতলায় স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের সামনে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। বুলু মিয়ার বাড়ি সিলেটের ওসমানী নগর এলাকায়।
আটককৃতরা হলেন- সিলেটের বিয়ানীবাজারের আঙ্গুরা গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে লাল মিয়া (৪৫) ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আতানগিরি গ্রামের হায়দর মিয়ার ছেলে আফজাল মিয়া (২৮)।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) কোরবান আলী, কনস্টেবল নিলয় পাল, সুরঞ্জিত রায় ও নিরুপম পাল।
পুলিশ জানায়, আজ ভোরে সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের কমলাকলস গ্রামের ছালিক বেগ মাস্টারের বাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে, ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে এমন খবর পেয়ে মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান ও মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ১২ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের পিছু নেয়।
এসময় ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ডাকাত দলের সর্দার দুলু মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। ঘটনার সময় অন্য ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেন, ‘ডাকাতরা সিলেট থেকে ডাকাতি করে মৌলভীবাজারে পুনরায় এসে ডাকাতি করে। আমাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার বুলু নিহত হন। এসময় দুই ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা পাঁচ জন আহত হয়েছি। ডাকাতির মালামাল শতভাগ উদ্ধার করা গেছে।’
Comments