করোনায় স্থবির জাপানেও গুজব

কর্মস্থল থেকে মা-বাবাদের ছুটি নিতে ও সেসময় বাচ্চাদের দেখাশোনা করার অনুরোধ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তিনি বলেছেন, এর জন্যে অভিভাবকরা সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পাবেন।
Abe press conference
টোকিওতে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতিপর্ব। ফেব্রুয়ারি ২৯ ২০২০। ছবি: রয়টার্স

কর্মস্থল থেকে মা-বাবাদের ছুটি নিতে ও সেসময় বাচ্চাদের দেখাশোনা করার অনুরোধ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তিনি বলেছেন, এর জন্যে অভিভাবকরা সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পাবেন।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জাপানে জরুরি উদ্যোগ হিসেবে গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন আবে।

আবের সেই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাপান পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত বাংলাদেশি সংবাদকর্মী রাহমান মনি। তিনি এসব তথ্য দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলেছিলেন।

আগামী আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে টোকিওতে আয়োজিত গ্রীষ্মকালীন ও প্যারা অলিম্পিক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিনজো আবে। করোনাভাইরাসের কারণে অলিম্পিক অনুষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলেও আশা করেন তিনি।

দেশটিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আবে সরকার ২৭ হাজার কোটি ইয়েনের প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

রাহমান মনি জানিয়েছেন জাপানের রাস্তা, রেলস্টেশন, শপিংমলগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে।

টোকিওতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইলেক্ট্রনিক মার্কেট আকিহাবারায় ক্রেতা নেই। হুমকির মুখে পড়েছে ইলেক্ট্রনিক পণ্যের বাজার।

জাপানেও গুজব

রাহমান মনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, জাপানে টিস্যু পেপার ও টয়লেট টিস্যুর সংকট রয়েছে— এমন গুজব রটেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বলা হয়েছে, টিস্যু পেপার ও টয়লেট টিস্যুর সংকট হওয়ায় তা আমদানি করা হচ্ছে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন থেকে।

জাপানিরা নিজ দেশে উৎপাদিত টিস্যু পেপার কেনার জন্যে সুপারশপগুলোতে দীর্ঘ লাইন দিচ্ছেন। সুপারশপে টিস্যু পেপার ও টয়লেট টিস্যুর সংকট দেখা দিয়েছে। জাপানে ব্যবহৃত টিস্যু পেপারের প্রায় ৯৮ শতাংশই সে দেশে উৎপাদিত হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago