তামিমকে ধরে খেলতে বলেনি টিম ম্যানেজমেন্ট
সবশেষ ১২ ম্যাচে ২৮০ রান, গড় ২৩.৩৩, তারচেয়েও রুগ্ন স্ট্রাইকরেট মাত্র ৬৭.৭৯! তামিম ইকবাল যেন ওয়ানডেতে একেবারেই খুঁজে পাচ্ছেন না নিজেকে। থিতু হতে বেশ খানিকটা সময় নেন, পাওয়ার প্লের মধ্যে খেলেন প্রচুর ডট বল। থিতু হয়ে গেলে তা পুষিয়ে দেওয়ার অবস্থায় যায় কখনো, কিন্তু তার আগেই আউট হয়ে গেলে দলের রানরেটে পড়ে চাপ। তামিমের খেলার ধরণ নিয়ে তাই উঠেছে প্রশ্ন। আগে শোনা গিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট থেকেই এক প্রান্তে ধরে খেলার বার্তা দেওয়া হয়েছে তামিমকে তবে ব্যাটিং কোচ তা নাকচ করে দিলেন। তার মতে কোন খেলোয়াড়কেই আলাদা এমন ভূমিকা দেওয়া হয়নি।
গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অনেক বড় আশার নাম ছিলেন তামিম। কিন্তু তার ব্যাট করেছে হতাশ। ৮ ম্যাচে ২৯.৩৭ গড়ে ২৩৫ রান করলেও তামিমের স্ট্রাইকরেট ছিল মাত্র ৭১.৬৪। এরপর শ্রীলঙ্কায় গিয়ে তো চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন। ৩ ম্যাচে মোটে করতে পারেন ২১ রান।
এবার অনেকদিন পর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব হতাশা কাটানোর সুযোগ তার। কিন্তু প্রথম ওয়ানডেতে ফের মলিন তিনি। রানে ভরা উইকেটেও ৪৩ বল খেলে আউট হন ২৩ রান করে।
বল নষ্ট হচ্ছে, আরেক প্রান্তের ব্যাটসম্যানের উপর চাপ তৈরি হচ্ছে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের এমন অ্যাপ্রোচ কি টিম ম্যানেজমেন্টের ঠিক করে দেওয়া? সোমবার তামিমকে নিয়ে ঐচ্ছিক অনুশীলনে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসেছিলেন নিল ম্যাকেঞ্জি। তার সোজা সাপ্টা জবাব, চালকের ভূমিকা নিতে বলা হয়নি দলের কাউকেই, বরং তামিমকে তার নিজের খেলাটা খেলার লাইসেন্স দিয়ে রেখেছে দল, ‘তামিম জানে তার কি করা দরকার। এটা করে দিলে (ভূমিকা ঠিক করা) উলটো ক্ষতির কারণ। আমাদের কথা হয়েছে। আমরা অনুভব করছি তার আরও দুটো বাউন্ডারি বেশি মারা উচিত। কোন অ্যাপ্রোচ নিতে হবে সেটাও সেই বুঝবে। কেউ তামিমের হয়ে ব্যাট করবে না। তাকেই তার খেলাটা খেলতে হবে। এটা দ্রুত বা ধীর খেলারও ব্যাপার না। আমরা জানি একটা প্লাটফর্মের জন্য তাকে কত দরকার দলে। আগে সে এটা করেছেও। আমরা জানি সে কি করতে পারে। গত বছর বিপিএলের ফাইনালে আমরা তাকে বড় সেঞ্চুরি করতে দেখেছি।’
দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে নেটে তামিমের স্ট্যান্স, পায়ের কাজ নিয়ে লম্বা সময় কাজ করেন ম্যাকেঞ্জি। তার আগে বলে গেছেন তারা বলেন খেলোয়াড়দের বলতে পারেন, পরামর্শ দিতে পারেন। তামিমের মতো অভিজ্ঞদের নিজের কাজটা করতে হবে নিজেকেই, ‘সে তার পরিকল্পনা জানে। আমরা এখানে স্কুল মাস্টার না। আমরা কাউকে বলব না কি শিখতে হবে, কি করতে হবে। আমরা মতামত, চিন্তা, টেকনিক্যাল পরামর্শ দিব। এরপর বাকিটা নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের ব্যাপার। আমরা একজন তরুণকে নিয়ে কথা বলছি না। একজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে নিয়ে কথা বলছি। বিশ্বাস করুন, সে যদি ভুল করে তাহলে আমি বা আপনারা জানের আগে সে জানবে। তামিম নিজের উপর অনেক চাপ নিয়ে ফেলেছে। সে তার উইকেটের অনেক মূল্য দেয়, আগে তা করে সফলও হয়েছে। আরও কিছু বাউন্ডারি বেশি হলে ব্যাপারটা থাকবে না।’
Comments