গোমূত্র-গোবর থেকে হোমিওপ্যাথি: করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ভারতীয় টোটকা
ভারতে ক্রমশই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে ১৬ জন ইতালীয় পর্যটকের দেহে মিলেছে এ ভাইরাস। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান মতে, এ নিয়ে মোট ২৮ জন ভারতীয় আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে।
কেরালা, নয়াদিল্লি ও হায়দরাবাদ ও জয়পুরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ভারতে। যে কারণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসন্ন হোলি উৎসবে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং লখনৌ ও নয়ডাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল।
এমন আতঙ্কের মধ্যেই আসামের বিজেপি নেতা সুমন হরিপ্রিয়া করোনাভাইরাসের দাওয়াই হিসেবে ‘গোমূত্র ও গোবর টোটকা’ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার আয়ুর্বেদ, ইউনানি, হোমিওপ্যাথি, যোগব্যায়াম নিয়ে কাজ করা ভারতের আয়ুষ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হোমিওপ্যাথিক ‘আর্সেনিকম অ্যালবাম ৩০’ ওষুধে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানো যেতে পারে। মন্ত্রণালয়ের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (পিআইবি) টুইটার পেজে গত ২৯ জানুয়ারি এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
— PIB India (@PIB_India) January 29, 2020
এই ওষুধ তিন দিন খালি পেটে খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। সংক্রামিত হওয়ার এক মাস পর এই ওষুধ আবারও খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় রোগ প্রতিরোধেও এই ওষুধ খাওয়া যেতে পারে বলে দাবি করেছে আয়ুষ মন্ত্রণালয়।
আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের মতে, তুলসী, গোলমরিচ এবং অশ্বত্থের মতো আয়ুর্বেদিক ওষুধে মানুষ উপকার পেতে পারেন। ইউনানি ওষুধের মধ্যে শরবতউন্নব, তির্যকঅর্বা, তির্যক নাজালা, খামিরা মার্বারিদ জাতীয় ওষুধ খেতে রোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তবে ভারতের ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইট অল্টনিউজ জানিয়েছে, আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের এই পরামর্শ সঠিক নয়। ‘আর্সেনিকম অ্যালবাম ৩০’ করোনাভাইরাসের ওপর কাজ করে না। কোথাও কোনও গবেষণা নেই যেখানে করোনাভাইরাস এবং এই ওষুধের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
Comments