বিদায় বেলায় অনন্য মাইলফলকের সামনে অধিনায়ক মাশরাফি
বাংলাদেশকে অনেক সাফল্য এনে দেওয়ার নায়ক অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন আগের দিনই। আজ তিনি শেষবার লাল-সবুজ জার্সিতে নামবেন টস করতে। আর জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে এই ম্যাচ জিতলেই অধিনায়ক মাশরাফি স্পর্শ করবেন এমন এক মাইলফলক, যার ধারেকাছেও নেই বাংলাদেশের আর কোন অধিনায়ক।
গত মঙ্গলবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ওয়ানডেতে মাশরাফির নেতৃত্বে ৪৯তম জয় পায় বাংলাদেশ। অধিনায়কত্বের শেষ ম্যাচ জিতলে তাই বাংলাদেশকে জয়ের হাফ সেঞ্চুরি এনে দেবেন তিনি।
বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতিয়ে সফলতম অধিনায়ক তিনি আগেই হয়েছেন। এবার তার সামনে সুযোগ সেই সাফল্যকে একটি ল্যান্ডমার্কে পৌঁছে দেওয়ার। মাশরাফির পরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সফলতম অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জিতেছে ২৯ ম্যাচ। এরপর আছেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের নেতৃত্বে ২৩ ওয়ানডেতে সাফল্যের ইতিহাস আছে বাংলাদেশের।
দেশকে ৮৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪৯টিতে জয় পাইয়ে দেওয়া মাশরাফির সাফল্যের হার শতকরা ৫৭.৬৪ শতাংশ। অধিনায়ক হাবিবুলের সাফল্যের হার ৪২.০২ শতাংশ, সাকিবের ৪৬.৯৩ শতাংশ।
পরিসংখ্যান তো বটেই। মাশরাফির মাঠে উপস্থিতি, দলকে উজ্জীবিত করা, শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার মানসিকতা আলাদা করে নজর কাড়ে মানুষের। চারিত্রিক গুণের কারণে নড়াইলের মাশরাফি আসরের মধ্যমণি থেকে দলনেতা এবং পরে জননেতাও হয়ে উঠেছেন। ২০১৪ সালে চরম বিপর্যস্ত বাংলাদেশের হাল ধরে দলকে রাঙিয়েছেন সাফল্যের আলোয়। তার নেতৃত্বে ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মতো দলকে হটিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে নিয়ে যান তিনি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ শীর্ষ দলগুলোর সঙ্গে টক্কর দিতে শেখে এই তার আমলেই।
Comments