৭৯ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াবা চোরাকারবারি আমিন হুদার মৃত্যু
মাদক মামলায় ৭৯ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আমিন হুদা আজ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে মারা গিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এটি নিশ্চিত করেছেন।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন আমিন হুদা। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থাতেই তার হার্টে রিং পড়ানো হয়েছিল। গত সাত-আট মাস ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
২০০৭ সালে ২৪ অক্টোবর ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মাদক চোরাকারবারি আমিন হুদা ও তার সহযোগী আহসানুল হক ওরফে হাসান। আলাদা দুটি মামলায় ২০১২ সালের ১৫ জুলাই আদালতের রায়ে এ দুই জনের প্রত্যেককে ৭৯ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
ইয়াবা চোরাকারবারির ঘটনায় এখন পর্যন্ত এটিই আদালতের দেওয়া সর্বোচ্চ রায়। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪’র বিচারক মোতাহার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেছিলেন।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবরে আমিন হুদার গুলশান-১’র ১২৩ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে ৩০ বোতল ফেনসিডিল, ৪৬ লাখ টাকা ও কয়েক ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদের পর অন্য একটি বাসায় তল্লাশি করে ১৩৮ বোতল মদ ও পাঁচ কেজি ইয়াবা (সংখ্যায় এক লাখ ৩০ হাজার) ছাড়াও ইয়াবা তৈরির উপাদান ও যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়।
আমিন হুদা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। সাজা পাওয়ার পর প্রায় অর্ধেক সময়ই হাসপাতালে পার করেছেন তিনি।
কারাগারে যাওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে তিনি অ্যাপোলো, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক, ঢাকা মেডিকেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বারডেম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
Comments