লিটনের পর তামিমেরও সেঞ্চুরি
সপ্তাহ খানেক আগেও পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। সামাজিক মাধ্যম হতে শুরু সব জায়গায় তার সমালোচনায় মুখর ছিল দেশের ক্রিকেট ভক্তরা। আর তার সব জবাব আগের ম্যাচেই দারুণ এক সেঞ্চুরি করে দিয়েছেন তামিম ইকবাল খান। এদিন জবাবটা আরও মোক্ষম করলেন দেশসেরা এ ওপেনার। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন। আরও একবার এ সেঞ্চুরি করেছেন স্ট্রাইক রেট একশর কাছাকাছি রেখেই।
তবে ইনিংসের শুরুতে এদিন কিছুটা দেখে খেলেছেন তামিম। অন্য প্রান্তে স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করে রানের চাকা সচল রেখেছেন লিটন দাস। অবশ্য খুব যে ধীরে ব্যাট করছিলেন তাও নয়, ৬০ বলে স্পর্শ করেছেন ফিফটি। হাফসেঞ্চুরির পথে অবশ্য ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি। এরপর কিছুটা হাত খুলে ব্যাট করতে থাকেন। তবে তা সিঙ্গেলসে ভর করে। এরপর অবশ্য খুনে মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন লিটন। তাই তাকে স্ট্রাইক দিয়ে খেলছিলেন তামিম।
শেষ পর্যন্ত ৯৮ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছান তামিম। সেঞ্চুরির পথে মেরেছেন ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা। সবচেয়ে বড় কথা নিয়মিত সিঙ্গেলস নিয়ে কমিয়েছেন ডট বলে পরিমাণ। ক্যারিয়ারে এটা তামিমের ১৩তম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি পথে এদিন লিটনকে নিয়ে দেশের হয়ে ওপেনিং জুটির নতুন রেকর্ড তো বটেই, বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটিটি উপহার দেন তিনি।
অথচ তামিমের ব্যাটিংয়ের ধরণ নিয়েই সমালোচনা চলছিল দেশ জুড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা ধীর গতিতেই ব্যাট চালাতেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে ৮৩ বলে করেছিলেন ২৪ রান। অথচ সেদিন বেশ সাবলীল খেলে ঝকঝকে এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওপেনিং সঙ্গী লিটন। এদিন অবশ্য দুইজনই পৌঁছেছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে।
তবে শেষ দিকে সব আকর্ষণ কেড়ে নেন লিটন। রীতিমতো ঝড় তোলেন। এমনকি দেশের হয়ে তামিমের করা সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের রেকর্ডও ভেঙে দেন। অবশ্য দলীয় ১৯৪ রানে অবশ্য ক্যাচ উঠিয়ে দিয়েছিলেন লিটন। তবে নো-বল হওয়ায় সে যাত্রা বেঁচে যান এ ওপেনার।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪০ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ২৭৯ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তামিম ১০৮ ও লিটন ১৬৪ রানে ব্যাট করছেন।
Comments