তবু নিজেকে গড়পড়তা অধিনায়ক মনে করেন মাশরাফি
বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিলেন দুই দফা। এই দফায় প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর। ২০১৪ সালের শেষ থেকে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ দল যে সমীহ জাগানো পারফরম্যান্স করেছে, তা তার অধীনে-তার ছোঁয়ায় বদলে গিয়ে। তার নেতৃত্বগুণের কদর করা হয়ে থাকে দেশে ও দেশের বাইরে- সবখানে। এই যেমন অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বিন মর্তুজার বিদায়ী ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে জিম্বাবুয়ের কোচ লালচাঁদ রাজপুত গেয়ে গেলেন তার গুণগান।
কিন্তু অধিনায়ক মাশরাফি কীভাবে নিজেকে মূল্যায়ন করেন? জিম্বাবুয়ে কোচের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা বাংলাদেশের বিদায়ী দলনেতার কাছে রাখা হলো এই প্রশ্ন। উত্তরে তিনি জানালেন, ‘নিজেকে মূল্যায়ন করি না। এক কথায় বলতে পারেন গড়পড়তা।’
যে মাশরাফি নিজেকে গড়পড়তা দাবি করছেন, পরিসংখ্যান বলছে, তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে সমীহ পাওয়ার মতো দল। বিশেষ করে ওয়ানডে সংস্করণে। দলকে ৮৮ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়ে ৫০টিতেই জিতিয়েছেন তিনি। তার অধীনে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে ঘরের মাঠে সিরিজ হারিয়েছে টাইগাররা। কেবল পরিসংখ্যান আমলে নেওয়া নয়, দুঃসময়ের চোরাবালিতে আটকে পড়া বাংলাদেশ দল তার শক্ত হাতে হাল ধরার কারণে আমূল বদলে গিয়েছিল।
শুক্রবার (৬ মার্চ) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি ছিল বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির শেষ ম্যাচ। তার অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করার ম্যাচে বাংলাদেশ জেতে ১২৩ রানের বিশাল ব্যবধানে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সতীর্থরা তাকে নিয়ে নানা আয়োজনে মাতে। দলের সবাই মাশরাফির ২ নম্বর জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন। জার্সির সামনে লেখা ছিল- ধন্যবাদ অধিনায়ক।
নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো ও জয় দিয়ে শেষ করা প্রসঙ্গে মাশরাফি বললেন, ‘একটা কাজ তো কমে গেল। অনেক বড় দায়িত্ব ছিল। সাধারণত এ সময়ে কারও ভালো লাগে, কারও খারাপ লাগে। অবশ্যই আমারও মিশ্র... দুটো অনুভূতিই হচ্ছে। তবে সত্যি বলতে, নিজের কাছে ভালো লাগছে যে, অধিনায়ক হিসেবে একটা ভালো জায়গায় এসে শেষ করতে পেরেছি।’
Comments