ত্বকীর হত্যাকারী দানবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে: আনু মুহাম্মদ

Taqi
শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে শহরের ৫নং ঘাট এলাকায় মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ৭ বছরেও বিচার না হওয়ার প্রতিবাদে সাংস্কৃতিক জোট ‘আলোর ভাসান’ কর্মসূচি আয়োজন করে। ৮ মার্চ ২০২০। ছবি: স্টার

তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ত্বকীর মতো একজন সৃজনশীল কিশোরের জন্ম হওয়াটাই সমাজের একটি শক্তির নিদর্শন।

তিনি বলেন, ‘ত্বকীর মতো একজন সৃজনশীল কিশোর, যার মধ্যে দেশ নিয়ে ভাবনা ছিল, অনেক বড় স্বপ্ন ছিল। এই সমাজে ত্বকী জন্মেছিল। ১৮ বছর পর্যন্ত ত্বকী এই সমাজে চলাফেরা করেছে, লিখেছে, ছবি এঁকেছে স্বপ্ন দেখেছে ও আরও অনেককে প্রভাবিত করেছে। এটাই আমাদের সমাজের সব চাইতে বড় শক্তির জায়গা।’

‘আমাদের দুর্বলতার জায়গা হচ্ছে সেই ত্বকীকে যে দানবেরা হত্যা করেছে সেই দানবেরা রাষ্ট্রযন্ত্রের পৃষ্টপোষকতা পেয়ে টিকে আছে। এই দানবদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখাই মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার একটি অন্যতম আশ্রয়,’ যোগ করেন তিনি।

গতকাল রোববার রাতে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে শহরের ৫নং ঘাট এলাকায় মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ৭ বছরেও বিচার না হওয়ার প্রতিবাদে সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘আলোর ভাসান’ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘ত্বকীকে আমার যেভাবে পেয়েছি সেভাবে ত্বকীকে পাওয়ার কথা না। আবার শীতলক্ষ্যা নদী যেভাবে দেখার কথা, পাওয়ার কথা। শীতলক্ষ্যা আজকে সেভাবে নাই। বাংলাদেশের সরকার যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, তাদের দানবেরা এই নদীগুলোতে শুধু মানুষের লাশ ভাসাচ্ছে না নদীগুলোকেও লাশ বানাচ্ছে।’

সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক ও ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেন, ‘১৯৭১ সালে শীতলক্ষ্যায় লাশ ফেলেছে পাকিস্তানিরা, আর আজ এই শীতলক্ষ্যায় লাশ ফেলে ওসমান পরিবার। এই শীতলক্ষ্যাকে তারা অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করে। এই শীতলক্ষ্যা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে। এ নদীতে যাদের লাশ পাওয়া গেছে, তাদের প্রত্যেকের হত্যার বিচার চাই।’

২০১৩ সালের ৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জের মেধাবী শিক্ষার্থী তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর লাশ পাওয়া যায় এই শীতলক্ষ্যার তীরেই। সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এ হত্যার কোনো বিচার হয়নি। এর প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট আয়োজন করে ‘আলোর ভাসান’। শীতলক্ষ্যার তীরের ৫ নাম্বার ঘাট, যেখানে ত্বকীর মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল, করা হয়েছিল এ আয়োজন।

শিল্পী অমল আকাশ তার পারফর্মিং আর্ট ‘আমি ত্বকী’ প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রদীপ শিখা প্রজ্জ্বলন করেন। পরে ত্বকীর স্মরণে নদীতে প্রদীপ ভাসানো হয়। জাফর বিপুল পরিচালিত ত্বকীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে এ আয়োজন শেষ হয়।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago