খোলা আকাশের নিচে দিন কাটছে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধশত পরিবারের দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে। বিকল্প ব্যবস্থা করতে না পারা ও সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় অধিকাংশ পরিবার বাড়ি-ঘর মেরামত করতে পারেনি।
Lalmonirhat_Cyclone_Victim_10Mar2020
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। ছবি: স্টার

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধশত পরিবারের দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে। বিকল্প ব্যবস্থা করতে না পারা ও সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় অধিকাংশ পরিবার বাড়ি-ঘর মেরামত করতে পারেনি।

আজ মঙ্গলবার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের বাদিয়ারচর গ্রাম ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। ঝড়ে তিনটি ঘরই ভেঙে গেছে আকলিমা বেওয়ার। তিনি বলেন, ঘর মেরামতের সামর্থ্য নাই, তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছি। আত্মীয়-স্বজনের কাছে সহায়তা চেয়েছিলাম, পাইনি।

ফসলের জমিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ঘর ভেঙে গেছে। পরিবারের চার সদস্য নিয়ে খোলা আকাশের নিচে আছি। হাতে কোনো টাকা-পয়সা নেই, ঘর ঠিক করবো কীভাবে! সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া নতুন ঘর নির্মাণ বা মেরামত করা অসম্ভব ব্যাপার।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, ঝড়ে চারটি ঘর ভেঙে গিয়েছিল। কোনো রকমে একটি ঘর মেরামত করা হয়েছে। টাকার অভাবে বাকি তিনটি ঘর মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। বাড়ির চারপাশের সব গাছ উপড়ে গেছে। পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি।

এ প্রসঙ্গে আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ পরিবারই গরিব। দিনমজুর কিংবা কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করে যা আয় করে তা দিয়েই সংসার চালায়। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবার যেন সরকারি সহায়তা পায় সে জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগির তাদের কাছে সরকারি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে যাবে। ঘর নির্মাণের জন্য ঢেউ টিন ও নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:

ঘূর্ণিঝড় ভেঙে দিয়ে গেল অর্ধশত ঘর-বাড়ি

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago