বুড়িমারী স্থলবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার নেই, ডিজিটাল থার্মোমিটারই ভরসা

দেশের উত্তরাঞ্চলে বুড়িমারী স্থলবন্দরে এখনো থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন করা হয়নি। ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে যারা আসছেন, তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ব্যবহার করা হচ্ছে ডিজিটাল থার্মোমিটার।
ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়েই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে বুরিমারী স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াতকারী দেশি-বিদেশিদের। ছবি: স্টার

দেশের উত্তরাঞ্চলে বুড়িমারী স্থলবন্দরে এখনো থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন করা হয়নি। ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে যারা আসছেন, তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ব্যবহার করা হচ্ছে ডিজিটাল থার্মোমিটার।

গতকাল বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন সুভাষ চন্দ্র বর্মন (৫৫)। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বুড়িমারী বন্দরে স্বাস্থ্যকর্মীরা ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়ে আমার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। যেহেতু থার্মাল স্ক্যানার করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে সহায়তা করে, তাই এটি বন্দরে সংযোজন করা উচিত।’

আরেক যাত্রী মেহেরুল ইসলাম (৪৫) বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্রমণকারীদের জিজ্ঞাসা করছিলেন যে তারা সর্দি বা জ্বরে ভুগছেন কি না এবং তাদের কেউ সম্প্রতি চীন সফর করেছেন কি না। একজন ভ্রমণকারী হিসেবে আমি নিরাপদ বোধ করিনি। কারণ আমাকে পরীক্ষা করার জন্য কোনো স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়নি।’

বুড়িমারী স্থলবন্দরে চার জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন। ওই দলের প্রধান স্বাস্থ্য সহকারী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিংবা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো আদেশ না পাওয়ায় এই বন্দরে ভ্রমণকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোনো স্ক্যানার বসানো হয়নি। ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়েই আমরা ভ্রমণকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘ভারত ও ভুটান খেকে আসা ট্রাকচালক ও তাদের সহায়তাকারীরদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।’

লালমনিরহাটের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. দীপঙ্কর রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এখনো স্ক্যানার পাওয়া যায়নি। তাই এই বন্দরে স্ক্যানার সংযোজন করা সম্ভব হয়নি। স্ক্রিনিংয়ের সরঞ্জাম পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

বুড়িমারী স্থলবন্দরে কর্মরত স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা আতোয়ার রহমান বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য স্ক্যান বা অন্যান্য মেডিকেল পরীক্ষা ছাড়াই বন্দরের মাধ্যমে ভ্রমণকারীদের প্রবেশ অনুমতি দেওয়া মারাত্মক হুমকির কারণ হতে পারে। অবিলম্বে এই বন্দরে স্ক্যানার স্থাপন করা অপরিহার্য।’

বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের উপপরিদর্শক খন্দকার মাহমুদ বলেন, এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ যাত্রী বাংলাদেশ-ভারত, ভুটান ও নেপালে যাতায়াত করেন। এ বন্দরের যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের জন্য স্ক্যানার সংযোজন করা জরুরি।’

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রাণিসম্পদ অফিসের নতুন ভবনে একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago