টেইলরের ব্যাটে জিম্বাবুয়ের লড়াইয়ের পুঁজি

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশ সফরে এবার শুরু থেকেই ব্যর্থ ছিলেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর। তিন সংস্করণ মিলিয়ে আগের আট ইনিংস তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৬১ রান। সেই টেইলর সিরিজের শেষ ম্যাচে রানের দেখা পেলেন। কিন্তু এদিন আবার ব্যর্থ তার সতীর্থরা। এতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৯ রানের মামুলি সংগ্রহে থেমে গেছে সফরকারীরা।

ইনিংসের শুরুতে নেমে শেষ পর্যন্ত বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন টেইলর। বাজে সময় পার করে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে এদিন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি তুলে নিয়েছেন অভিজ্ঞ তারকা। ৫৯ রান করে অপরাজিত থেকেছেন তিনি। ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজান ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে। মূলত তার ব্যাটে চড়েই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার (১১ মার্চ) টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। আগের ম্যাচে বাদ পড়া আল-আমিন হোসেন এদিন একাদশে ফিরে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন বাংলাদেশকে। তার বলে স্কুপ করতে চেয়েছিলেন কামুনহুকামুই। ঠিকভাবে লাগাতে পারেননি। বল সোজা উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো মুশফিকুর রহিমের হাতে গিয়ে জমে। ফলে দলীয় ১২ রানেই ভাঙে ওপেনিং জুটি। ১০ বলে ১০ রান করেন কামুনহুকামুই।

এরপর আরেক ওপেনার টেইলরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন আরভিন। কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাট করে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন তারা। ৫৫ বলে আসে জুটির ফিফটি। তবে আফিফ হোসেন বল হাতে নিয়ে প্রথম ডেলিভারিতেই ৫৭ রানের জুটিটি ভাঙেন। তার বলে লং-অনে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ অনুশীলন করিয়ে ফিরে যান আরভিন। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের সঙ্গে বেমানান ব্যাটিংয়ে তিনি করেন ৩৩ বলে ২৯ রান।

এরপর অধিনায়ক শন উইলিয়ামসও দায়িত্ব নিতে পারেননি। মেহেদী হাসানের বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ার আগে করেন মাত্র ৩ রান। পাঁচে নামা সিকান্দার রাজা ফিরতে পারতেন খালি হাতেই। মেহেদীর বলে উইলিয়ামসের মতো তিনিও লং-অনে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন সৌম্য।

তাতে অবশ্য বাংলাদেশের ক্ষতি হয়নি, খুব বেশি এগোতে পারেননি রাজা। ব্যক্তিগত ১২ রানে স্কুপ করতে গিয়ে আল-আমিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ১ রান যোগ হতে আউট হয়ে যান রিচমন্ড মুটুমবামি। টিনোটেন্ডা মুটমবোডজিও দায়িত্ব নিতে পারেননি। ফলে রানের গতিতে দম দেওয়া হয়নি জিম্বাবুয়ের।

একপ্রান্ত আগলে দারুণ ব্যাটিং করেন টেইলর। তার ব্যাটে চড়েই সম্মানজনক স্কোর পায় জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের শূন্য হাতে ফেরত দিতে ১২০ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।

টেস্ট দিয়ে শুরু হওয়া সিরিজে একক আধিপত্য দেখিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল হকের নেতৃত্বে ইনিংস ব্যবধানে একমাত্র টেস্ট জেতার পর ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে তারা হোয়াইটওয়াশ করে মাশরাফি বিন মর্তুজার অধিনায়কত্বে।

এবার মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতলে প্রথমবারের মতো কোনো দলের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজে তিন সংস্করণেই জিতবে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে, পূর্ণাঙ্গ সিরিজে তিন সংস্করণ মিলিয়ে সবগুলো ম্যাচে জয়ও মিলবে প্রথমবার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১১৯/৭ (কামুনহুকামুই ১০, টেইলর ৫৯*, আরভিন ২৯, উইলিয়ামস ৩, রাজা ১২, মুটুমবামি ১, মুটমবোডজি ৩, মাধেভেরে ০, মুম্বা ১*; মোস্তাফিজ ২/২৫, সাইফউদ্দিন ১/৩০, আল-আমিন ২/২২, হাসান ০/২৫, মেহেদি ১/১৪, আফিফ ১/২)।

Comments

The Daily Star  | English

CEC urges officials to ensure neutrality as polls preparations advance

He reiterates that the commission is advancing steadily with election preparations

1h ago