মানিকগঞ্জে ১০৯ প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে
গত ২৪ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জে আরও ৩০ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৭৯।
তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ না থাকলেও বিদেশ ফেরত হওয়ার কারণে তাদেরকে নিজ নিজ বাসায় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ।
তিনি বলেছেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার দেশে আসা প্রবাসীদের শনাক্ত ও তাদেরকে তাদের নিজ বাড়িতে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মানুষদের সার্বিক সহযোগিতায় জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের দেশে বাসা প্রবাসীদের শনাক্ত করা হচ্ছে। তাদেরকে নিজ নিজ বাসায় বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার শনাক্ত হয় ৫৯ জন, বুধবার ২০ জন ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩০ জন প্রবাসীকে শনাক্ত করা হয়েছে। গত তিনদিনে জেলায় মোট ১০৯ প্রবাসীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, করোনা প্রতিরোধে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ১৬ বেডের আইসোলেশন ইউনিট ও মানিকগঞ্জ জেলা শহরের কেওয়ারজানি এলাকায় আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ১০০ শয্যার কোয়ারেন্টাইন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
করোনা প্রতিরোধে গঠিত কমিটির সদস্যরা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণে থাকা ব্যক্তিদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
১১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটিতে জেলা প্রশাসক সভাপতি ও সিভিল সার্জন সদস্য সচিব। এছাড়াও, প্রতিটি উপজেলায় ইউএনওকে সভাপতি ও উপজেলা স্বাস্থ্য-পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে সদস্য সচিবকে করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নয় সদস্যবিশিষ্ট কোভিড-১৯ নামের করোনাভাইরাস ব্যবস্থাপনা কমিটিও করা হয়েছে। এই কমিটিতে সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. সাকিনা আনোয়ারকে প্রধান করা হয়েছে।
হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে রোগীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা ও তা রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো এই কমিটির প্রধানতম কাজ।
তবে, কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা নির্দেশনা না মেনে এলাকায় ঘোরাফেরা করছেন বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, ‘সচেতন হয়ে সবাই মিলে চেষ্টা না করলে এটা বাস্তবায়ন করা কঠিন।’
Comments