তোপধ্বনি, আতশবাজি, প্রার্থনার মতো কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধ থাকবে জেলায় মুজিববর্ষের উদ্বোধন
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সতর্কতা হিসেবে জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় জনসমাবেশ না করে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান হবে সীমিত আকারে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের আজ এমন নির্দেশনা দিয়েছেন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মুজিববর্ষের উদ্বোধনের দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনি, ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাবার/মিষ্টি বিতরণ, হাসপাতাল, কারাগার, শিশু পরিবার—এতিম খানায় মিষ্টি ও উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, গৃহহীনদের মধ্যে গৃহ প্রদানের উদ্যোগ ও জনসমাবেশ ছাড়া আতশবাজির আয়োজন করতে বলা হয়েছে।
এর বাইরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের ভবনে ১৭ মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি, উদ্ধৃতি, জন্মশতবার্ষিকীর লোগো সম্বলিত ড্রপডাউন ব্যানার, ফেস্টুন, প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য বাড়াতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোকসজ্জা করা হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উৎসবমুখর পরিবেশে নিজস্বভাবে সীমিত আকারে বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন: আলোচনা, দেয়াল পত্রিকা/স্মরণিকা প্রকাশ, কুইজ, রচনা, বিতর্ক ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, মিষ্টান্ন বিতরণ, দুপুরের খাবার আয়োজন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্সে জানানো হয়, জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ১৭ মার্চ যে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল করোনাভাইরাসের বিশ্বপরিস্থিতিতে তা আপাতত হচ্ছে না। জনসমাগম ছাড়াই উদ্বোধনী আয়োজনে দেশবিদেশের মানুষ যেন সম্পৃক্ত হতে পারেন সে লক্ষ্যে টেলিভিশন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান একযোগে সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Comments