হ্যান্ডশেক বারণ, করোনাভাইরাস নিয়ে যা ভাবছেন ক্রিকেটাররা

হ্যান্ডশেকের জন্য হাত বাড়িয়েছেন, করেও ফেলেছেন তাসকিন আহমেদ। তারপরই মনে পড়ল, আরে! হ্যান্ডশেক করা যে এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। তামিম ইকবাল অনুশীলন এসে জানালেন, হ্যান্ডশেক বাদ, করবেন এলবোশেক! মাহমুদউল্লাহ কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে হ্যান্ডশেকের বিকল্প সারলেন। আবার সাইফ হাসানের কথা - ‘হ্যান্ডশেক এড়ানো তো বড্ড মুশকিল’। করোনাভাইরাস নিয়ে এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতেই রোববার শুরু হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি এই রোগ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।
করোনাভাইরাসের কারণে জনসমাগম, মেলামেশা ঝুঁকিপূর্ণ। বিশ্বের বড় বড় সব ক্রীড়া ইভেন্টই তাই হয়ে গেছে বন্ধ। বাংলাদেশে এই ভাইরাস এখনো ভয়াবহ আকার ধারণ না করায় জনজীবন স্বাভাবিক। তবে মানা হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা। রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও সতর্কতার অংশ হিসেবে বাড়তি কিছু দৃশ্য দেখা মিলবে। শনিবার মিরপুর শেরে বাংলার একাডেমি মাঠে দেখা গেল তার কিছু ডেমো।
হ্যান্ডশেক ও হাইফাইভের বদলে কনুই দিয়ে হালকা টোকাটুকি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের। এছাড়া খেলার নির্দিষ্ট বিরতিতে ক্লাবগুলো হ্যান্ড স্যানেটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কারের ব্যবস্থাও রাখবে।
তারা যা ভাবছেন
তামিম ইকবাল
আর সবার মতো আমারও ভাবনা আছে এটি নিয়ে। আশা করব যেন এই কঠিন সময় থেকে গোটা পৃথিবী যেন দ্রুত বের হয়ে আসতে পারে। দুর্ভাবনার অনেক কিছুই আছে। বিশ্বজুড়েই ক্রীড়া ইভেন্ট সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখানে যারা আছেন, চিন্তা করছেন, আমি নিশ্চিত, সঠিক মানুষদের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আমাদেরকে আপাতত বলা হয়েছে খেলার জন্য। আমরা খেলতে প্রস্তুত। পরিবর্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত এলে সেভাবেই কাজ করব।
হ্যান্ডশেক যত কম করা যায়… সত্যি কথা। আমাদের সংস্কৃতিতে এটা শুনতে খুব বেশি লোক হয়ত পছন্দ করবে না। কিন্তু পরিস্থিতিই এরকম… হ্যান্ডশেকের আরও অন্য উপায় আছে। এলবোশেক হয়ত (ভিন্ন উপায়)।
আব্দুর রাজ্জাক
ভাই, এখন আতঙ্কে আছি। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ কোন সমস্যা হলে আমাদের থেকে তো পরিবারও আক্রান্ত হবে। সব কিছুর উপরে তো জীবন।
এনামুল হক জুনিয়র
সতর্ক থাকতে হবে। তবে আমাদের খেলাটা যেন বন্ধ না হয়, আশা করি তেমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না।
সাইফ হাসান
আমরা সতর্ক আছি। যেসব সাবধানতা মেনে চলতে বলা হয়েছে আমরা তা করব। আশা করি কোন সমস্যা হবে না। আর হ্যান্ডশেক না করে থাকাটা একটু মুশকিল।
আবু জায়েদ রাহি
এই নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না। সবাই যেভাবে চলবে, সেভাবেই চলব। চিন্তা করছি না, খেলা নিয়েই ভাবছি।
Comments