তিন গোলে এগিয়ে থেকেও হারল বসুন্ধরা
সপ্তাহ খানেকও পার হয়নি মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে এএফসি কাপে শুভ সূচনা করেছে বসুন্ধরা কিংস। তাতে নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাসে টগবগে ফুটছিল দলটি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ফিরে তার ছোঁয়াও দেখা যাচ্ছিল। চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষের ম্যাচের প্রথম ঘণ্টায় তিন গোলে এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু এরপরই যেন খেই হারিয়ে উল্টো চারটি গোল খেয়ে ম্যাচই হেরে বসে বসুন্ধরা। সাত গোলের রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে ৪-৩ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নিলো বন্দর নগরীর দলটি।
অথচ বসুন্ধরা এদিন ম্যাচটি খেলেছিল নীলফামারীতে নিজেদের মাঠে। যেখানে এর আগে কখনোই কোন ম্যাচ হারেনি তারা। শতভাগ জয়ের রেকর্ডের পয়া সে মাঠে প্রথম হারের স্বাদ পেয়ে হারাল শীর্ষে ওঠার সুযোগও। তবে টিসি স্পোর্টসের বিপক্ষে জয়ের নায়ক হার্নান বার্কোস এদিন ছিলেন না। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ লিগের প্রথম পর্বে খেলতে পারবেন না তিনি। মূলত এএফসি কাপের জন্যই তাকে কিনেছে তারা। তবে দ্বিতীয় পর্বে তাকে পাবেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বড্ড বেশি প্রয়োজন বসুন্ধরার। কারণ এর আগের ম্যাচেই অপেক্ষাকৃত দুর্বল মোহামেডানের কাছেও হেরে গিয়েছিল দলটি।
ঘরের মাঠে এদিন শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে বসুন্ধরা। ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে আখতাম নাজারভের গোলে এগিয়ে যায় দলটি। প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়ায় তারা। যোগ করা সময়ে গোল করেন নিকোলাস দেলমন্তে। দ্বিতীয়ার্ধেও চাপ অব্যাহত রাখে বসুন্ধরা। সে ধারায় ৫৯তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ে। এবার গোল দেন দলের অধিনায়ক ড্যানিয়েল কলিনড্রেস। তখন মনে হচ্ছিল সহজ জয়ের পথেই এগিয়ে যাচ্ছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
কিন্তু এরপরই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আবাহনী। চার মিনিট পর ব্যবধান কমায় দলটি। ৬৩তম মিনিটে গোল করেন দিদিয়ার চার্লস। তিন মিনিট পর আবার গোল। এবার লক্ষ্যভেদ করেন নিক্সন গিলেরমে। সমতায় ফিরতে অপেক্ষা করতে হয় আরও ২১ মিনিট। ৮৮তম মিনিটে আবার গোল করেন সেই নিক্সন। তবে ম্যাচের যোগ করা সময়ে ছড়ায় আসল রোমাঞ্চ। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে জয় সূচক গোল করেন চিনেদু ম্যাথিউ।
এ জয়ে ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এলো চট্টগ্রাম আবাহনী। সমান সংখ্যক ম্যাচে বসুন্ধরার সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। জিতলে তাদেরও সুযোগ ছিল শীর্ষে যাওয়ার। ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তবে এদিন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিপক্ষে জয় পেলে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে শীর্ষে উঠে আসে ঢাকা আবাহনী।
Comments