করোনা আতঙ্কে মানিকগঞ্জে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম

করোনাভাইরাস আতঙ্কে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে।
মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে। ছবি: স্টার

করোনাভাইরাস আতঙ্কে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে।

গতকাল রোববার মানিকগঞ্জ পৌরসভার ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

মানিকগঞ্জ পৌরসভার পোড়রা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার জানিয়েছেন, তার বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬০৮ জন। বিদ্যালয়ে সাধারণত গড়ে সাড়ে ৪০০ শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে। কিন্তু, করোনাভীতির কারণে উপস্থিতির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।

‘গতকাল ২২০ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তা আগের দিনের চেয়ে ৪৫ জন কম।’

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার পারভেজ জানিয়েছেন, তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৮৬ জন। গতকাল উপস্থিত ছিল ৩৬৭ জন, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৩ জন কম। করোনাভাইরাস ভীতির কারণেই উপস্থিতি কম বলে জানান তিনি।

মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, তিনি ওই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণিকক্ষ শিক্ষকের দায়িত্বপালন করছেন। তার শ্রেণি কক্ষে মোট শিক্ষার্থী ৯০ জন। গতকাল উপস্থিত ছিলো ৭৩ জন ও তার আগের দিন উপস্থিত ছিলো ৮২ জন। দিন দিন কমছে বলে জানান।

সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. নুরুল আমিন জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠানের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। গত কয়েকদিনে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ক্রমেই কমছে। করোনো আতঙ্কের কারণেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে (আজ) সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের সব নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

কলেজটির দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আয়শা মোকাররমা জানিয়েছেন, তিনি অধ্যক্ষের নির্দেশে ভিজিলেন্স টিমের প্রধান হিসেবে গতকাল কলেজের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনা আতঙ্ক আছে। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী আসছে না বলে তাকে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৫০ শতাংশ কমে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার অধিকারী জানিয়েছেন, জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দিন দিন কমে যাওয়ার তথ্য দিচ্ছেন। করোনা আতঙ্কের কারণেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা নেই জানিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ও এর ভীতি-আতঙ্ক দূর করতে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে মনে করেন তারা।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago