গাজীপুরে কোয়ারেন্টিনে থাকা ইতালি ফেরত একজনের শরীরে করোনভাইরাস শনাক্ত

গাজীপুরে কোয়ারেন্টিনে থাকা ইতালি ফেরত যে আট জনকে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে।
Coronavirus Research-2.jpg
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে কোয়ারেন্টিনে থাকা ইতালি ফেরত যে আট জনকে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে।

গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান আজ বুধবার দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল রাতে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে থেকে তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী এক তথ্য বিবরণীতে জানান, গত ১৪ মার্চ রাত থেকে গাজীপুর জেলার পুবাইল এলাকার ‘মেঘডুবি ২০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’ হাসপাতালে ইতালি ফেরত ৪৮ বাংলাদেশি নাগরিককে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। রোববার প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের মধ্যে চারজনকে অধিকতর পর্যবেক্ষণের জন্য ঢাকার উত্তরাস্থ কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি আরও জানান, একই কারণে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেঘডুবি হাসপাতাল থেকে আরো চার জনকে উত্তরার ওই হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গাজীপুরের এ হাসপাতালে চার জন নারীসহ অবশিষ্ট ৪০ জন কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। মেঘডুবি হাসপাতালে স্থাপিত কোয়ারেন্টিন ছাড়াও গাজীপুর সদর উপজেলায় তিন জন এবং কালীগঞ্জ, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া উপজেলায় একজন করে মোট ছয় জন প্রবাসী ‘হোম কোয়ারেন্টিন’-এ রয়েছেন। তাদেরকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। 

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন, গাজীপুরে কর্মরত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সমন্বয় করে কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানীয়, চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ নিত্য-প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। কোয়ারেন্টিনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেখানে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, দেহে জ্বর দেখা দেওয়ায় রোববার ও সোমবার রাতে দুই দফায় আটজনকে ঢাকার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আতঙ্কিত না হয়ে এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গাজীপুরবাসীকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান জানান, মেঘডুবি ২০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, একজন মেডিকেল অফিসার, দুইজন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট মেডিকেল অফিসার ও পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।

Comments