ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রামনের উদ্বেগ বেড়ে যাওয়া গতকাল মঙ্গলবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করার পর বিপুল সংখ্যক মানুষ রাজধানী ছেড়ে ঘরমুখি হচ্ছেন।
ঘরমুখি মানুষ গত সোমবার ও মঙ্গলবার বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশনে ভিড় করে। এই ভিড় আরও দু-একদিন থাকতে পারে।
করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে দেশের পরিবহণ ব্যবসা, বিশেষ করে বাস, যাত্রী হারাচ্ছে। কিন্তু, গত দুদিনের চিত্র ভিন্ন।
কলেজ শিক্ষার্থী তাসিন ফেরদৌস তার বোনকে নিয়ে সোমবার রাতে হিলিগামী হানিফ পরিবহনের বাসে ঢাকা ছাড়েন। গতকাল দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে তাসিন বলেন, ‘কল্যাণপুর বাস টার্মিনালে প্রচুর ভিড় ছিল। কাউন্টারে অতিরিক্ত চাহিদা দেখে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫০ টাকা করে বেশি নিয়েছে প্রতি টিকিটে।’
যোগাযোগ করা হলে হানিফ পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার মোশারেফ হোসেন বলেন, সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়ার পর যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে।
টিকিটের বাড়তি দাম রাখার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোশারেফ বলেন, ‘এমন হওয়ার কথা না। অভিযোগের সত্যতা পেলে আমরা (কাউন্টারে) কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
বাংলাদেশ বাস ট্রাক মালিক সমিতির চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, আগামী আরও এক বা দুদিন মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, তারা যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করছেন।
গ্রিন লাইন পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার আবদুস সাত্তার জানান, গত এক সপ্তাহে তাদের যাত্রীর পরিমাণ ৫০ শতাংশ কমলেও সোমবারে তা বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতির শিগগির উন্নতি না হলে বাস চালানো কঠিন হবে।’
শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী ফেরিঘাটের একজন কর্মীও জানিয়েছেন, সোমবার বিকাল থেকে ব্যক্তিমালিকানাধীন যানবাহনের চলাচল দ্বিগুণ হয়েছে।
গত দুদিনে কমলাপুর, বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশনে বিপুল সংখ্যক যাত্রী ভিড় করেছেন। বিমানবন্দর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মরন চন্দ্র দাস বলেন, উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাওয়া ট্রেনে তুলনামূলকভাবে বেশি ভিড় হচ্ছে।
বাস ও ট্রেনে চাপ থাকলেও সদরঘাট লঞ্চঘাটে গত দুই দিনে উল্লেখযোগ্য ভিড় দেখা যায়নি বলে গতকাল জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপথ পরিবহন কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক শহীদ উল্লাহ।
Comments