যুবদলের খেলোয়াড়দের কাছ থেকেও পরামর্শ নেন মোস্তাফিজ
যখন খেলা থাকে না, তখন বোলিংয়ের ঘাটতি নিয়ে কাজ করার আদর্শ সময়। মোস্তাফিজুর রহমান সেই সময়টা কাজে লাগান শতভাগ। নিজের ভিডিও দেখেন, অনেকের কাছ থেকে শোনেন পরামর্শ। এমনকি ছোটদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতেও দ্বিধা নেই তার। বাংলাদেশের তারকা বাঁহাতি পেসার জানালেন, যুব দলের এক ব্যাটসম্যানের পরামর্শে স্লোয়ার ডেলিভারিতে ভিন্নতা আনার ক্ষেত্রে উপকৃত হচ্ছেন তিনি।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের খেলা না থাকায় আজ বুধবার মিরপুর একাডেমি মাঠে ফিটনেস ট্রেনিং করতে এসেছিলেন মোস্তাফিজ। করোনাভাইরাস নিয়ে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাওয়ায় সামনেও আরও কয়েকদিন খেলা না থাকার শঙ্কা আছে।
এই সময়টা বোলিংয়ের ঘাটতি পূরণে কাজে লাগাবেন বাংলাদেশের এই পেসার। পরামর্শ পেতে রাখবেন দুয়ার খোলা। কদিন আগে যেমন যুব দলের এক ক্রিকেটারের কাছ থেকে টোটকা পেয়েছিলেন স্লোয়ার বল নিয়ে, যা না-কি বেশ কাজেও লাগছে তার, ‘আমি দেখি। আমার পুরাতন ভিডিওগুলা দেখি। অনেকের কাছে শুনি কী করলে কী হয়। মাঝে যুব দলের একটা ছেলের কাছেও একটা টিপস পেয়েছি, ওদের বল করার সময়। ভালো সম্পর্ক আমার ওদের সঙ্গে। তো স্লোয়ার বলটা নিয়ে বলছিল, ভাই, সাইড থেকে না করে উপর থেকে করলে ভালো। আমারও দেখলাম তার পরামর্শ নিয়ে ভালো লাগছে।’
যুব দলের বেশ কয়েকজন পেসার এর মধ্যেই নিজেদের চিনিয়েছেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে যুব বিশ্বকাপে শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিবদের ঝাঁজ দেখা গেছে। তবে এই তরুণদের উঠে আসায় কোনো চাপ বোধ করছেন না মোস্তাফিজ। বরং স্বাস্থ্যকর ও ইতিবাচক প্রতিযোগিতা দেখছেন সামনে, ‘আমরা তো আজীবন খেলব না। আমি ২০-২১ বছরে মনে হয় ঢুকেছি (জাতীয় দলে)। শরিফুলের বয়স যদি হিসাব করেন, তাহলে ১৯-২০। (আমি) আরও দুবছর খেললে সাত বছর হয়ে যাচ্ছে জাতীয় দলে। কিছু তো আসা লাগবে (খেলোয়াড়)। আসলে তো ভালো, আমাদের জন্য তো ভালো। আমার কথা হলো, সবকিছুর উপরে একটা উদ্দেশ্য আছে, এই জায়গাটায় কে থাকবে। যে ভালো করবে সে থাকবে। প্রতিযোগিতা যদি সবাইকে দিয়ে হয়, তাহলে সবার জন্য ভালো।’
Comments