নিখোঁজ সাংবাদিকের সন্ধান ও দমন-পীড়ন বন্ধের দাবি অ্যামনেস্টির

সাংবাদিকদেরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা এবং ভয়ভীতির যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তার ইতি টানতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি দ্রুত সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি।
amnestyinternational-logo.jpg
ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিকদেরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা এবং ভয়ভীতির যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তার ইতি টানতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি দ্রুত সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি।

এমনেস্টি এক বিবৃতিতে আজ বলেছে, ‘এ বছর একজন স্বনামধন্য সম্পাদকসহ তিনজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনৃশঙ্খলার অবনতি ঘটানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে একজন সাংবাদিক নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারায় অভিযুক্ত আরেক সাংবাদিক গুমের শিকার হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর সাউথ এশিয়া ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি বিবৃতিতে বলেন, ‘নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের বাকস্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা-নির্যাতন ও গুমের শিকার হওয়ার শঙ্কা স্মরণ করিয়ে দেয় যে, বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের কারণে যে কাউকে অত্যন্ত চড়া মূল্য দিতে হতে পারে।’

ফেসবুকে ‘ভুল, আক্রমণাত্মক ও অবমাননাকর’ বক্তব্য প্রকাশের অভিযোগে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল এবং ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরদিন ১০ মার্চ থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। এই সাংবাদিকের অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য পুলিশ দেয়নি।

সাদ হাম্মাদি বলেন, ‘শফিকুল ইসলাম কাজলের গুম হওয়ার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি গুরুতর উদ্বেগ বাড়িয়েছে এবং এই বার্তা দিচ্ছে যে, মানুষজন আর স্বাধীন ও নিরাপদে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছেন না। তার কী পরিণতি ঘটেছে এবং কোথায় আছেন এসব বিষয় কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে স্পষ্ট করতে হবে। যদি তিনি রাষ্ট্রের হেফাজতে থাকেন তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago