করোনাভাইরাস

নতুন আরও ৪ জন শনাক্ত

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ। ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বাংলাদেশে করোনায় নতুন করে আরও চার জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন নারী ও তিন জন পুরুষ। আক্রান্ত এক নারী ও দুই পুরুষ একই পরিবারের সদস্য। এ নিয়ে দেশে করোনরাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। মারা গেছেন একজন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন তিন জনের আক্রান্তের তথ্য আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন। অপরজন চুয়াডাঙ্গায় শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার সিভিল সার্জন এএসএম মারুফ হাসান।

একই পরিবারের আক্রান্ত তিন জনের ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, ‘আক্রান্ত তিন জনের মধ্যে একজন নারী, তার বয়স ২২। অন্য দুইজন পুরুষ, তাদের বয়স ৬৫ ও ৩২ বছর। তারা একই পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছে। আক্রান্ত নারী স্থানীয় একটি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে আছেন। আর পুরুষ দুই জন হাসপাতালে আছেন।’

‘নতুন আক্রান্ত তিন জন যার বা যাদের সংস্পর্শে এসেছেন, তারা ইতালি ফেরত’, যোগ করেন তিনি।

আবুল কালাম আরও জানান, ‘আমাদের এখনো কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়া) নেই। আমাদের সবাইকে সতর্ক হতে হবে। সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক হতে হবে।’

অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি গত চার দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে ছিলেন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে আজ শনাক্ত হয়েছেন।

দ্রুত করোনার পরীক্ষায় নতুন কিট আবিষ্কারের ব্যাপারে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘যদি এটি সফল কিট হয়, এটা যদি কাজে লাগে, তাহলে তো আমরা অবশ্যই খুশি হব। এ বিষয়টা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেখছে। আমি যেটা জানতে পেরেছি, তিনি অনেক বিশেষজ্ঞকে নিয়ে এ ধরনের একটা কমিটি বানিয়েছেন। দুটো বিষয় আমাদেরকে জানতে হবে। এটা পিসিআর কি না। আমরা আজকের পত্র-পত্রিকা দেখে জানতে পেরেছি, ১০-১৫ মিনিটে এটার ফলাফল পাওয়া যায়। বোঝাই যাচ্ছে এটা র‍্যাপিড টেস্ট। র‍্যাপিড টেস্টের কিট অন্যান্য দেশেও উদ্ভাবন হয়েছে বলে জেনেছি। আমরা সেগুলো সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছি। আমরা নিজেরাও চাইছি, এ ধরনের রেপিড টেস্ট কিট যদি পাওয়া যেত, তাহলে যারা উদ্বেগে আছে বা দ্রুত আমরা যাতে পরীক্ষা করে একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে করোনা থাকতে পারে কি না।’

‘কিন্তু যেটা আমরা জেনেছি, তা হলো এটিতে “ফলস নেগেটিভ” হওয়ার হার খুব বেশি। ১০-১৫ শতাংশ। অর্থাৎ, একটা লোকের মধ্যে করোনাভাইরাস আছে, কিন্তু পরীক্ষা করে তাকে বলে দিল, তার মধ্যে নেই। তাহলে এই লোকটা অবাধে ঘোরাফেরা করবে। কোনো সতর্কতা নেবে না। এ ধরনের ঝুঁকি আমরা নিতে পারি না। যদি ফলস পজিটিভ হয়, তাহলে আমরা মেনে নিতে পারি। কারণ তাহলে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাকে আমরা আবার পরীক্ষা করলাম। কিন্তু ফলস নেগেটিভ, অর্থাৎ তার আছে, কিন্তু বলছে নাই, এ ধরনের ঝুঁকি নিতে পারি না। যদি র‍্যাপিড টেস্ট কিট হয়, তাহলে আমরা দেখব যে ফলস নেগেটিভের হার ও সঠিকতার হার কত। যদি সঠিকতার হার অনেক বেশি থাকে, তাহলে আমরা অবশ্যই একে স্বাগত জানাব।’

‘দ্বিতীয়ত এটা যদি পিসিআর টেস্ট কিট হয়, তাহলেও আমরা একি জিনিস দেখব যে এটার নির্ভরযোগ্যতা কতটুকু। যদি ভালো হয়, অবশ্যই স্বাগত জানাব। আমরাতো চাই, ব্যাপক কিট আসুক এবং অল্পমূ্ল্যে আমরা ব্যাপক সংখ্যক পরীক্ষা করতে পারি। এটাই হলো নতুন কিট সম্পর্কে আমাদের মতামত।’

Comments

The Daily Star  | English
The bold move to a flexible exchange rate regime

The bold move to a flexible exchange rate regime

With the central bank agreeing to go for a flexible exchange rate, the IMF will disburse the fourth and fifth instalments in June this year.

9h ago