কুয়াকাটায় হোটেল, রাঙ্গামাটিতে পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতায় কুয়াকাটা পর্যটন এলাকাসহ কলাপাড়ার সব হোটেল-মোটেল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাঙ্গামাটিতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব র্পযটনকেন্দ্র।
রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতায় কুয়াকাটা পর্যটন এলাকাসহ কলাপাড়ার সব হোটেল-মোটেল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাঙ্গামাটিতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব র্পযটনকেন্দ্র।

গতকাল বুধবার রাতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পটুয়াখালী ও রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।

গতকাল রাত ৮টায় কুয়াকাটার কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে দেওয়া এ নির্দেশনা পালনের ব্যাপারটি জানান।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার থেকে হোটেলে বুকিং নেওয়া বন্ধ করতে হবে বলে সেখানকার হোটেল মালিকদের বলা হয়েছে। যেসব ভ্রমণকারীরা কুয়াকাটায় অবস্থান করছেন, তাদের কুয়াকাটা ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে চলতি মাসে (মার্চ) বিদেশ ভ্রমণ করেছেন কিংবা বিদেশ থেকে ফিরেছেন এমন ১২৬ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কুয়াকাটা জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে সাত জন ভারতীয় নাগরিক ও একজন ব্রিটিশ নাগরিক রয়েছেন।

কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে একজন করে তদারকি কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে। এসব কর্মকর্তাদের নিয়ে গতকাল রাত ৮টায় উপজেলা পরিষদের দরবার হলে জরুরি সভা করে করোনা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সচিব, চৌকিদারদের বলা হয়েছে, বিদেশ ফেরত কিংবা ভ্রমণ করা বাসিন্দাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

রাঙ্গামাটিতে সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

করোনাভাইরাসের সতর্কতায় রাঙ্গামাটির সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল রাতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জেলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, জেলার বাইরে থেকৈ আসা ভ্রমণকারীদের ঘুরতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

‘করোনা একটি সংক্রামিত রোগ। ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে যাতে এটি না ছড়ায়, তাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’, যোগ করেন তিনি।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে রাঙ্গামাটি স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতোমধ্যে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের নতুন অ্যাকাডমেকি ভবন ও আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশক্ষিণ ইনস্টিটিউট কেন্দ্রের ভবনে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, এই জেলায় বিদেশ ফেরত নয় জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও জেলা সিভিল সার্জনকে সদস্যসচিব করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করা হয়ছে।

Comments