প্রয়োজন হলে লকডাউন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশের কোনো এলাকা লকডাউন করা হবে কি না, এমন বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘কোনো এলাকা যদি বেশি আক্রান্ত হয়ে যায়, অবশ্যই সেসব এলাকা লকডাউন করা হবে। যেখানে যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে সেখানে লকডাউন করা হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চীন করোনা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে লকডাউনের মাধ্যমে। অন্যান্য দেশও চীনকে অনুসরণ করছে। যদি আমাদের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে এবং আমাদের কোনো এলাকা যদি বেশি আক্রান্ত হয়ে যায়, আমরাও অবশ্যই সে এলাকা লকডাউনে নিয়ে যাব। আমাদের দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে করোনা থেকে। লকডাউন করাটাই আক্রান্ত এলাকার জন্য একমাত্র উপায়। যার মাধ্যমে আমরা ভাইরাসটি ছড়িয়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে নিতে পারব।’

কোন এলাকা লকডাউন করা হতে পারে, এ সম্পর্কে কোনো ধারণা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা যারা আসে, এর মধ্যে দু-একটি এলাকার খবর আমাদের কাছে আসে। এটা হলো— মাদারীপুর, ফরিদপুর এলাকা। আরেকটা আছে শিবচর এলাকা। এসব এলাকাতে বেশি করে দেখা যাচ্ছে। যদি অবনতি ঘটে। তাহলে আমরা লকডাউনের দিকে যাব।’

‘অন্যান্য জেলায় যতজন পাচ্ছি, সেসব জেলায় (মাদারীপুর, ফরিদপুর) বেশি পাচ্ছি। আক্রান্ত ১৭ জনের মধ্যে বেশিভাগই সেখানকার। ওখানকার লোক বিদেশে থাকেও বেশি। সেজন্য আমরা সেসব এলাকা বেশি ক্রিটিক্যাল মনে করছি। আগামীতে সেখানে যদি সত্যিই (সংক্রমণ) বেড়ে যায়, তাহলে আমরা লকডাউন করে দেবো,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি জানান, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য টঙ্গীর ইজতেমা মাঠকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে বোঝাবার চেষ্টা করছি।  এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষকে আমরা কোয়ারেন্টিনে রেখেছি। এটা তো আমাদের বিরাট একটা সফলতা যে এত মানুষকে আমরা রাখতে পেরেছি। আর যারা লঙ্ঘন করছেন, তাদের জরিমানা করছি। তাদের জেলে যেতে প্রস্তুত থাকার কথাও বলা হচ্ছে। সেই বিষয়েও আমরা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হব না।’

তিনি বলেন, ‘লকডাউন তো একটা বড় সিদ্ধান্ত। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে, আরও বেশি আক্রান্ত হলে এটি করতে হবে। আমরা তো এখন ভালো পরিস্থিতিতে আছি বলে মনে করি। অন্য দেশের তুলনায় আমাদের আক্রান্তের সংখ্যা কম। মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র একজন। যিনি মারা গেছেন তার বয়স ৭০-এরও বেশি। তার কিডনি, হার্টের রোগ ও ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ ছিল।’

Comments

The Daily Star  | English

Pilots faked flying records

CAAB inquiry finds, regulator yet to take action

11h ago