না ফেরার দেশে ভারতীয় ফুটবল কিংবদন্তি পিকে ব্যানার্জি

pk banerjee
ছবি: টুইটার

ভারতীয় ফুটবল কিংবদন্তি পিকে (প্রদিপ কুমার) ব্যানার্জি পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। আজ শুক্রবার কলকাতায় বার্ধক্যজনিত কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ফুটবলের জন্য গোটা জীবন উৎসর্গ করা এই সাবেক তারকা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পিকে। নিউমোনিয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট জাতীয় সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তা ছাড়া পারকিনসন ও হৃদরোগও ছিল তার। গেল ২ মার্চ থেকে তিনি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে হার মানতে হয়েছে জীবনের লড়াইয়ে।

দীর্ঘ ৫১ বছর ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন পিকে। খেলোয়াড় হিসেবে খ্যাতির চূড়া ছোঁয়ার পর কোচ হিসেবেও নাম কুড়িয়েছিলেন তিনি। ভারতের ফুটবলের সোনালি সময়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন পিকে। জাতীয় দলের হয়ে ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত খেলে ৮৪ ম্যাচে করেছিলেন ৬৫ গোল।

১২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনটি এশিয়ান গেমসে খেলেছিলেন পিকে। ১৯৬২ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় জিতেছিলেন স্বর্ণ পদক। এ ছাড়া ১৯৫৯ ও ১৯৬৪ সালে মারদেকা কাপে রৌপ্য পদক জেতা ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দুটি অলিম্পিকেও অংশ নিয়েছিলেন পিকে। ১৯৫৬ সালে চতুর্থ স্থান অর্জনের স্বাদ নিয়েছিলেন। এরপর ১৯৬০ আসরে দলকে দিয়েছিলেন নেতৃত্ব।

যদিও মোহন বাগান কিংবা ইস্ট বেঙ্গলের মতো নামি ভারতীয় ক্লাবে খেলা হয়নি পিকের, তবে ইস্টার্ন রেলওয়ের হয়ে একবার লিগ জিতেছিলেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনের পর তার কোচিং ক্যারিয়ারও ছিল অর্জন আর প্রাপ্তিতে সমৃদ্ধ। ভারতীয় জাতীয় দলের কোচ ছিলেন ১৪ বছর। তার অধীনে ১৯৭৭ সালে ট্রেবল জিতেছিল মোহন বাগান, ঘরে তুলেছিল আইএফএ শিল্ড, রোভার্স কাপ ও ডুরান্ড কাপের শিরোপা।

ভারতীয় ফুটবলে অসামান্য অবদান রাখায় ১৯৬১ সালে অর্জুনা পুরস্কার পান পিকে। এরপর ১৯৯০ সালে তাকে দেওয়া হয় পদ্মশ্রী পদক। এ ছাড়া ২০০৪ সালে ফিফার একশ বছর পূর্তিতে অর্ডার অব মেরিট অর্জন করেন তিনি। অলিম্পিক কমিটির ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড জেতা এশিয়ার একমাত্র ফুটবলারও তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Decision on AL’s registration after receiving govt ban order: CEC

The decision to ban was made at a special meeting of the council following three days of demonstrations demanding a ban on the party

1h ago