ঢাকা-১০ উপনির্বাচন: কেন্দ্রে ভোটার নেই

Vote-1.jpg
ভোট কক্ষের ভেতর পোলিং অফিসাররা গল্পগুজব করে অলস সময় পার করছেন, কেউ সংবাদপত্র পড়ছেন, কেউ খাচ্ছেন। ছবি: স্টার

করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই ঢাকা-১০ শূন্য আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল নয়টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া শুরু হয়।

রাজধানীর ধানমন্ডির শুক্রাবাদের নিউ মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ভোটার উপস্থিতি ও ভোটদানের হার একেবারেই কম। ভোট কক্ষের ভেতর পোলিং অফিসাররা গল্পগুজব করে অলস সময় পার করছেন, কেউ সংবাদপত্র পড়ছেন, কেউ খাচ্ছেন। নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা কেন্দ্রের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছেন।

ভোটগ্রহণ শুরুর পর দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় নিউ মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নারী ভোট কেন্দ্রের ২ হাজার ৯৯টি ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে মাত্র ২৩টি। এ ছাড়াও পুরুষ ভোট কেন্দ্রের ৩ হাজার ৭৬৭টি ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে মাত্র ৮৫টি।

নারী ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মঞ্জুরুল হাসান বলেন, ‘এটি অবশ্যই করোনাভাইরাস এফেক্ট। সিটিতে এমনিতেই লোকজন কম।’

পুরুষ ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা একটি ফ্যাক্টর।’

আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারেননি আ. লীগ প্রার্থী শফিউল ইসলাম

আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল ইসলাম আঙুলের ছাপ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর না মেলায় ইবিএমে ভোট দিতে পারেননি।

শফিউল ইসলাম সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর কলাবাগান লেক সার্কাস স্কুল কেন্দ্রের ৬ নম্বর বুথে ভোট দিতে যান। কিন্তু আঙুলের ছাপ না মেলায় তিনি ভোট দিতে পারেননি। তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরও মেলেনি। সার্ভারেও নৌকার প্রার্থীর নাম নেই।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম রাজধানীর উত্তরার ভোটার। মাইগ্রেট করে তিনি এ আসনের ভোটার হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারকে শফিউল ইসলাম বলেন, ‘একটা টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে আমি ভোট দিতে পারিনি। বলে এসেছি পরে এসে ভোট দিব।’

উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করলে ঢাকা-১০ নির্বাচনী আসন শূন্য হয়।

Comments

The Daily Star  | English

ICT investigators submit report against Hasina, 2 others

The charges stem from the violent crackdown during the July 2024 mass uprising

1h ago