ডেমরা ল’ কলেজ: একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ
করোনাভাইরাসের কারণে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডেমরা ল’ কলেজ। চলতি বছরে এক মাসের বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি ডেমরা ল’ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আখনূখ জাবীউল্লাহর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে শিক্ষার্থীদের বলা হয়, আপনারা কলেজের এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ টাকা দিয়ে কিছু চাল-ডাল ও সাবান কিনে আশপাশের দুস্থ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করুন। এই এক মাসের বেতন কলেজকে দিতে হবে না। অর্থাৎ, এই শিক্ষাবর্ষে ১২ মাসের পরিবর্তে ১১ মাসের বেতন পরিশোধ করতে হবে। পরবর্তীতে কলেজ খুললে শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই ওই এক মাসের বেতনের রশিদ কলেজ অধ্যক্ষের কাছ থেকে নিতে পারবে।
এ ব্যাপারে ডেমরা ল’ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আখনূখ জাবীউল্লাহ দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া শুরু করে, এর মধ্যে আমাদের দেশেও আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়। তখন আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৈঠক করি। আমরা ভাবছিলাম, কলেজের সবাই মিলে কী করতে পারি। ভেবেছিলাম সবাই মিলে টাকা তুলে আশপাশের দুস্থদের সহায়তা করবো। কিন্তু, এর মধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা আসে। হঠাৎই আমাদের কলেজও বন্ধ করে দিতে হয়।’
‘ভাবছিলাম কী করা যায়। তাই সিদ্ধান্ত নেই, শিক্ষার্থীদের এক মাসের বেতন কলেজ না নিয়ে তা দিয়ে দুস্থদের জন্য যাতে কিছু করা যায়। কারণ, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে বলা হচ্ছে। কিন্তু, আমাদের ঢাকায় অনেক দুস্থ পরিবার আছে। অনেকেই দিনমজুরের কাজ করেন। ঘর থেকে বের না হলে তাদের চলবে কী করে? তাদের পাশে দাঁড়াতেই এ ভাবনা’ যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের বোঝানো যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ দিয়ে দেওয়া মানে ছুটিতে চলে যাওয়া নয়। ট্যুরিস্ট স্পটে ঘুরতে যাওয়া নয়। আশপাশের দুস্থদের জন্য কিছু করা। সবাই সবার জায়গা থেকেই কিছু না কিছু করতে পারে। তাদের মধ্যে এ বোধ জাগাতেই আমাদের এ উদ্যোগ।’
Comments