করোনায় আক্রান্ত কিংবদন্তি ইতালিয়ান ফুটবলার মালদিনি
উৎপত্তি চীনে হলেও করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা সবচেয়ে বেশি পরিমাণে দেখছে ইতালি। দেশটির ক্রীড়াঙ্গনকেও নাড়িয়ে দিয়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি। সেখানে বসবাসরত বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন পাওলো মালদিনি। কিংবদন্তি এই সাবেক ইতালিয়ান ডিফেন্ডারের ছেলে দানিয়েল মালদিনির শরীরেও করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
৫১ বছর বয়সী মালদিনি বর্তমানে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন। তার ছেলে ১৮ বছর বয়সী দানিয়েল একই দলের হয়ে খেলেন। চলতি মৌসুমেই মিলানের জার্সিতে আ’তে অভিষেক হয়েছে তার।
শনিবার রাতে ক্লাবটির বিবৃতি দিয়ে মালদিনি ও তার ছেলের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মালদিনি ও তার ছেলে দুজনেই আছেন কোয়ারেন্টিনে। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো।
নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মিলান কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘এসি মিলান নিশ্চিত করছে যে, ক্লাবের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পাওলো মালদিনি এমন একজন ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন যিনি পরবর্তীতে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়েছিলেন এবং মালদিনি নিজেও এরপর ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখাতে শুরু করেছিলেন।’
‘গতকাল তার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয় এবং ফল পজিটিভ এসেছে। তার ছেলে দানিয়েল যিনি এসি মিলানের যুব দলের সদস্য এবং সম্প্রতি মূল দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন, পরীক্ষায় তার ফলও পজিটিভ এসেছে।’
‘পাওলো ও দানিয়েল দুজনেই ভালো আছেন। গেল দুই সপ্তাহ ধরে তারা নিজেদেরকে বাড়িতে আলাদা করে রেখেছিলেন এবং অন্য কারও সংস্পর্শে যাননি। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে, যতদিন পর্যন্ত না তারা সুস্থ হয়ে ওঠেন, ততদিন তারা কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।’
সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার তো বটেই, মালদিনিকে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারও বিবেচনা করা হয়। ইতালি জাতীয় দলে খেলেছেন প্রায় দেড় যুগ। ২০০৯ সালে খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় জানানোর আগে ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটাই কাটান এসি মিলানে। সুদীর্ঘ ২৫ বছর সান সিরোর মাঠ দাপিয়ে অন্যান্য অনেক শিরোপার পাশাপাশি জেতেন সাতটি সিরি আ ও পাঁচটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
এদিনই আরেক ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসের তারকা ফুটবলার পাওলো দিবালার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড নিজেই কোভিড-১৯ পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কেবল তিনি-ই নন, তার বান্ধবি আর্জেন্টাইন গায়িকা ও মডেল ওরিয়ানা সাবাতিনও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গেল ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে রেকর্ড ৭৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চার হাজার ৮২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরও ছয় হাজার ৫৫৭ জন। ফলে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৫৩ হাজার ৫৭৮ জনে পৌঁছেছে। উদ্বেগজনক অবস্থায় পুরো ইতালি অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
Comments